কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আলোচিত কিশোর হত্যার ঘটনায় ৩জনকে আটক করেছে র্যাব-১১ এর সদস্যরা। র্যাব অভিযান চালিয়ে তিনজনকে কুমিল্লা, ঢাকা ও নরসিংদী হতে গ্রেফতার করে। তিন অটো ছিনতাই কারী চক্রের সদস্য বলে নিশ্চিত করেছে র্যাব।
গতকাল বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে ব্যাটালিয়ন প্রধান লে: কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, আশ্রাফুল আমিন (১৬) নামে ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্র অটোরিক্সা চালাতে গিয়ে নিখোজ হয়। আশ্রাফুল আমিন দাউদকান্দি উপজেলার শাহপুর গ্রামের মো: আল আমিনের পুত্র। করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবারের হাল ধরতে সে অটোরিক্সা চালায়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধায় নিখোজ হলে ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে দাউদকান্দি থানার গৌরিপুর দৈয়ারপাড়া নোমান সাহেবের মাছের প্রজেক্টের দক্ষিন পাশে খালী জায়গায় হাত-পা বাধা মুখে স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় আশ্রাফুলের লাশ পাওয়া যায়।ঐ দিন নিহতের বাবা দাউদকান্দি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিল। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডেরন বিষয়টি র্যাবের নজরে আসলে র্যাব-১১ হত্যাকান্ডটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে র্যাবের একটি আভিযানিক দল অপরাধীদেরকে ঢাকা, কুমিল্লা ও নরসিংদী হতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো দাউদকান্দি উপজেলার সরকারপুর এলাকার মৃত শফিকুল ইসলামের পুত্র মোঃ সাইদুল ইসলাম (১৯), একই উপজেলার বুলিরপাড় এলাকার মন্তুস চন্দ্র সাহার পুত্র কিশোর চন্দ্র সাহা (১৮) ও চান্দিনা উপজেলার সাতগাও এলাকার আব্দুল হালিমের পুত্র মো: রিফাত হোসেন। র্যাবের অধিনায়ক লে: কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা সাংবাদিকদের জানান, পরিকল্পিতভাবে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই তিনজন গত ১৬ সেপ্টেম্বর একত্রিত হয়ে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এই পর্যন্ত আমরা যা জানতে পেরেছি এই তিনজনের মধ্যে সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। তদন্তে বাকীদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা জানা যাবে। এদের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তাও জানা যাবে। এই ঘটনার আাগে আরো একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে আটক আসামীরা।