দেশের শীর্ষ নাট্যনির্মাতাদের একজন অরণ্য আনোয়ার। ‘আমাদের নুরুল হুদা’র মতো অসংখ্য সিরিজ ও একক নাটক নির্মাণ করেছেন তিন দশকের ক্যারিয়ারে। এবার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। এতে নাম ভূমিকায় যুক্ত হলেন পরীমণি।
সিনেমার নাম ‘মা’। একটি মর্মান্তিক সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটির চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন অরণ্য আনোয়ার নিজেই। তিনি জানান, ১৯৭১ সালে মৃত ঘোষিত সাত মাস বয়সী এক সন্তানকে নিয়ে তার অসহায় মায়ের আবেগের গল্পই উঠে আসবে এতে। আর সেই মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন এই সময়ের সেরা চিত্রনায়িকা পরীমণি।
২৯ সেপ্টেম্বর রাতে পরীমণি ও অরণ্য আনোয়ারের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
অরণ্য আনোয়ার বলেন, ‘এই গল্পটি আমি ও আমার বন্ধু পুলক কান্তি বড়ুয়া নিজেদের মধ্যে লালন করছি দীর্ঘ সময়। এতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটি হলো মায়ের। সিনেমা বানালেই তো হবে না, দরকার যোগ্য পাত্র-পাত্রী। আমি শুরু থেকেই বেশ সচেতন ছিলাম মায়ের চরিত্রটিকে ঘিরে। অবশেষে গল্পটি শোনালাম পরীকে। কিন্তু দ্বিধা ছিল, মায়ের চরিত্রে পর্দায় হাজির হবেন কিনা! কারণ, এসব বিষয়ে আমাদের নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে একটা ট্যাবু রয়েছে। কিন্তু গল্পটি শোনানোর পর পরী যেভাবে গ্রহণ করলেন; তাতে আমি বিস্মিত ও মুগ্ধ। যদিও অভিনেত্রী বা নায়িকা পরীমণির চাইতে ব্যক্তি পরীমণি আমার কাছে পূজনীয়। প্রচলিত অন্ধকারের বিরুদ্ধে তার অবস্থান আমাকে মুগ্ধ করে। আমি গর্বিত, সেই পরীর সাথেই শুরু হচ্ছে আমার প্রথম সিনেমা।’
জানা গেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীমণির কোনও শিডিউল ফাঁকে নেই। তাই জানুয়ারি থেকে পরীমণিকে নিয়ে মাঠে নামবেন অরণ্য আনোয়ার।
ছবিটিতে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে পরীমণিও উচ্ছ্বসিত। তার ভাষায়, ‘যখন শুনি কোনও নির্মাতা প্রথমবার ছবি নির্মাণ করতে চাইছেন, খুব ভালো লাগে। আমি সব সময় এমন নির্মাতাদের পাশে থাকতে চাই। আর অরণ্য আনোয়ারকে তো চিনি যখন আমি টিভি দর্শক, তখন থেকেই। ফলে তার প্রতি আগে থেকেই একটা মুগ্ধতা ছিল। এগুলোও বিষয় না, দিনশেষে মূল বিষয় গল্পের শক্তি। সেই শক্তিটা আমি এই চিত্রনাট্যে পেয়েছি। এমন চরিত্রে আমি আর কাজ করিনি। আমার তো মা নেই। এবার সেই মায়ের চরিত্রেই অভিনয় করবো। আশা করছি নিজেকে ভাঙতে পারবো।’
‘মা’ প্রযোজনা করছেন যৌথভাবে প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়া ও অরণ্য আনোয়ার। শিগগিরই জানানো হবে অন্য কলাকুশলীদের নাম।