বাংলাদেশে বীরের জন্ম হয়েছে বারবার
Published : Friday, 1 October, 2021 at 12:00 AM
ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। ইতিমধ্যে আমরা জেনে গেছি ভদ্রলোক মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা গেছেন ইন্ডিয়ার একটি হাসপাতালে। রিপোর্ট পড়ে যতটুকু জেনেছি এ নিয়ে তিনি দুই দফায় প্রায় তিন শতাধিক যাত্রীর প্রান বাঁচিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানের ককপিটে বসে। হায়াত মউত আল্লাহর হাতে, ক্যাপ্টেন নওশাদ একজন উসিলা মাত্র। ভদ্রলোকের বয়স এমন কিছু হয়নি। ছোট দুটো সন্তান রয়েছে উনার। বিশেষজ্ঞদের মতামতে বোঝা গেছে মানুষটা খুবই দায়িত্বশীল ছিলেন। কাজ করতে করতেই আল্লাহর প্রিয় হয়ে গেলেন।
বাংলাদেশে এমন বীরের জন্ম হয়েছে বারবার, আমরা তাদের মনে রাখিনা। কয়েকদিন মিডিয়া আর ফেসবুকে হয়তো আলোচনা হবে কিছু, আবার ভুলে যাবো তাদের। অথচ এই ধরনের মানবপ্রেমী দায়িত্বশীল মানুষগুলো হতে পারে ভবিষ্যত প্রজন্মের আইকন। চর্বিতচর্বন রাজনীতির ভাঙ্গা রেকর্ড জেনারেশন এখন নেয়না, টিকটক আইটেম মনে করে, দলকানাদের কথা অবশ্য আলাদা। সরকারী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হোষ্টেলে থেকে পড়তে হলে ছাত্ররাজনীতি নামে দানবের কাছে জিম্মী হতে হয়। ক্ষমতার গরম দেখিয়ে বাধ্য করে শ্রদ্ধা আদায় আর আদর্শিক রাজনীতি আসলে আলাদা জিনিষ। সরকারী কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ঝামেলামুক্ত জীবনের খোঁজে মেধাবীরা চলে যায় দেশ ছেড়ে। এই ধরনের সিস্টেম লসের কারনে মেধা পাচার হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ।
ক্যাপ্টেন নওশাদের মত ক্রান্তিবীরদের জাতীয় সম্মাননা দেয়া হলে তরুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উজ্জ্বীবিত হবে। একুশে পদক স্বাধীনতা পদক সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পদক নিয়েও দলাদলির শেষ নেই। অনেক গুণীজন পুরষ্কার পাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে বাগিয়ে নেয়ার ধান্দায় যে কোন ক্ষমতাসীন দলের তাঁবেদার হয়ে যায়। আর শান্তনা হিসেবে মরনোত্তর পুরষ্কার জোটে ভদ্রলোকদের ভাগ্যে। ক্যাপ্টেন নওশাদ আপনি বাংলাদেশের গর্ব। আপনাকে মরনোত্তর সম্মান জানানো ছাড়া আর কোন যোগ্যতা আমার নেই। মহান আল্লাহ আপনার পরিবারকে ধৈর্য্য ধারন করার শক্তি দিন। আমীন। ঘনঘন স্মৃতিভ্রমে আক্রান্ত এই জাতির একজন গর্বিত সন্তান আপনি। আপনাকে সশ্রদ্ধ স্যালুট জানাই ভাই।
ভালবাসা অবিরাম।