Published : Monday, 25 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 25.10.2021 1:32:14 AM

জহির শান্ত ||
কুমিল্লার
নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে হনুমানের মূতির উপর পবিত্র কোরআন
রেখে ইকবাল হোসেনের নিয়ে আসা গদাটি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দিবাগত
রাত ১১টার দিকে দারোগাবাড়ি মাজার সংলগ্ন রাস্তার দক্ষিণ পাশের একটি ভবনের
দেয়াল ঘেঁষা ঝোঁপ থেকে অভিযান চালিয়ে গদাটি উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযানকালে
ইকবালকে সাথে নিয়ে আসে পুলিশ। এসময় তার দেখানো জায়গা থেকে গদাটি উদ্ধার করা
হয়। এসময় সিআইডির একটি ফরেনসিক টিম গদা থেকে আঙ্গুলের ছাপ ও এর আশপাশে
পাওয়া অন্যান্য বস্তু উদ্ধার করে আলামত হিসেবে জব্দ করে।
গত ১৩ অক্টোবর
শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালে নানুয়া দিঘির পাড়ের মণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পর
পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে মূর্তির গদাটি নিয়ে যায় ইকবাল হোসেন। গদাটি হাতে
নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরাঘুরির পর গদাটি ফেলে দেয় ইকবাল। পূজামণ্ডপে কোরআন
রাখা ও গদা নিয়ে ঘুরাঘুরির চিত্র ধরা পড়ে বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে।
এসব ঘটনার পর ইকবাল কুমিল্লা ছেড়ে পাড়ি জমায় কক্সবাজারে। গত ২১ অক্টোবর
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে
গ্রেফতার হয় ইকবাল। পরে ইকবালসহ এ মামলার চার আসামিকে কুমিল্লার আদালতে
হাজির করে জিঞ্জাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত
প্রত্যেক আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে গতকাল রবিবার রাতে
তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে গদাটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম. তানভীর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
আনোয়ারুল আজিমসহ জেলা পুলিশ, সিআইডি ও গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ
রেজওয়ান জানান, পুলিশের দায়ের করা কোরআন অবমাননার মামলাটি রবিবার রাতে
সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে মামলার অন্যতম
আসামি ইকবাল হোসেন জানান, পূজামণ্ডপে হনুমানের কোলে কোরআন রেখে হাত থেকে
গদাটি নিয়ে এসে দারোগাবাড়ি মাজার মসজিদের পাশের একটি ঝোঁপে ফেলে দেন।
অভিযানের সময় ইকবালকে মাজারের পাশে নিয়ে যাওয়া হলে তার দেখানো জায়গা থেকে
হনুমানের গদাটি উদ্ধার করা হয়।