
শারজা
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পরই ড্রেসিংরুমে ঢুকে যান
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অন্য সময় ম্যাচ শেষেও টিম বাসে ওঠার আগে কিছুক্ষণ
ওয়ার্ম আপ করে থাকেন ক্রিকেটার কিংবা কোচরা। কিন্তু গতকাল চিত্রটা ছিল
ভিন্ন। শ্রীলঙ্কান দল পুরো মাঠ চষে বেড়াচ্ছিলেন অপর দিকে লাল সবুজের কোনো
সদস্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না।
ম্যাচ শেষে কোনো টিম মিটিংও হয়নি।
হোটেলে এসে যে যার মতো রুমে চলে যান। আজও দলীয় কোনো অনুশীলন নেই। হোটেলের
জিম কিংবা সুইমিংপুলে সময় কাটাতে পারেন ক্রিকেটাররা। লঙ্কানদের বিপক্ষে সহজ
ম্যাচ হাতছাড়া হওয়াতে হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পুরো দল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং
করতে নেমে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে। শ্রীলঙ্কা ৭ বল বাকি
থাকতে ৫ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। অথচ এক সময় ম্যাচের লাগাম ছিল
বাংলাদেশের হাতেই। কিন্তু লিটন দাস দুটি ক্যাচ মিস করার পর হাত ফসকে যায়
ম্যাচও।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে দারুণ করা এক ক্রিকেটারকে অভিনন্দন
জানালে ফিরতি বার্তায় তিনি বলেন, 'না ভাই। প্রশ্নই আসে না। জয়টা পেলে দারুণ
হতো সব। খুব হতাশ হয়ে আছি আমরা। এমন একটা অবস্থা এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যেও
কথা হচ্ছে না।'
তিনি আরো বলেন, 'আসলে জয়টা দিয়ে শুরু করতে পারলে আমাদের
জন্য খুব ভালো হতো। সবকিছু পাল্টে যেত। সবাই আরো উজ্জীবিত হতাম। সামনে আরো
কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের বিপক্ষে লড়া সহজ হতো। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। আমাদের
এসব ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।'
২৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ
ইংল্যান্ড। আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায়
ম্যাচটি শুরু হবে। এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি
ম্যাচ খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এই প্রথম ইংলিশদের
মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহর দল।
কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ডকে
হারানোর অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের। ওয়ানডেতে ২০১১ বিশ্বকাপে ২ উইকেটে ও
২০১৫ বিশ্বকাপে ১৫ রানে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার
টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশবধের পালা।
আজ বিশ্রামের পর নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য একদিন সুযোগ পাবেন মাহমুদউল্লাহ-সাকিবরা। এরপরেই সব ভুলে নামতে হবে মহারণে।