মিয়ানমারে গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলোর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জান্তার সরকারের আরও ২৫ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। টানা তিন দিনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৮৫ জন সেনা নিহত হলেন। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে সেনা সদস্যের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলে এখনও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী বাহিনী কাউলিন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (কেএলপিডিএফ)-র যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪০ জন সরকারি সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এর আগে। বুধবার সকালে সাগাইংয়ের কাউলিন শহরের কিউনবিনথা গ্রামের কাছাকাছি তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়া সংগঠনটির দাবি অন্য আরেক স্থানে সংঘর্ষে মারা যায় ২০ সেনা সদস্য।
এদিকে, মিয়ানমারের চিন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে আবারও বাড়িঘরে আগুন দিয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাণ ভয়ে এলাকা ছেড়েছে অনেক মানুষ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চিন রাজ্যের থান্টলাং শহরে আত্মরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিরা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির এনএলডি (ন্যাশনাল লি ফর ডেমোক্র্যাসি) সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পরপরই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মিয়ানমার। বিক্ষোভ দমনে চড়াও হয় সামরিক সরকারও। এতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ, বন্দি হয়েছেন কয়েক হাজার।
মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১১শর মতো মানুষ নিহত হয়। আটক করা হয় আট হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে।