মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর বম্বে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে শনিবার কারামুক্ত হন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। এ মামলায় আরিয়ানের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরও দুইজন—আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা। একসঙ্গে জামিন পেলেও পেপারওয়ার্কের কাজ বাকি থাকায় কারামুক্ত হননি আরিয়ানের ওই দুই সঙ্গী।
আরিয়ানের কারামুক্তির একদিন পর রোববার (৩১ অক্টোবর) ছাড়া পান তারা। মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে আরবাজ আর বাইকুল্লা মহিলা জেল থেকে মুনমুন মুক্ত হন।
জানা যায়, বম্বে হাইকোর্ট থেকে একসঙ্গে জামিন পেয়েছিলেন আরিয়ান, আবরাজ ও মুনমুন। তিনজনের একসঙ্গে জামিন মিললেও কিছু পেপারওয়ার্কের কাজ বাকি ছিল আরবাজ ও মুনমুনের। আর এ কারণে তাদের আরও একদিন কারাগারে থাকতে হয়েছে। বর্তমানে মুনমুনের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে, যাতে মুনমুন নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে ফিরে যেতে পারেন।
এর আগে ২২ দিন আর্থার রোডের জেলে বন্দি ছিলেন আরিয়ান খান। তার আগে ছয়দিন ছিলেন ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো-এনসিবির হেফাজতে। তার সঙ্গী ছিল এই আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা। বৃহস্পতিবার ১৪টি বিশেষ শর্তে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান আরিয়ান, আরবাজ ও মুনমুন।
জামিনের শর্তানুযায়ী, প্রতি শুক্রবার এনসিবি কার্যালয়ে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে হাজিরা দিতে হবে তাদের। পাশাপাশি তারা দেশ ছাড়তে পারবেন না। এমনকি বিশেষ এনডিপিএস আদালতে তাদের পাসপোর্টও জমা দিতে হবে। এছাড়া মামলা চলাকালে তারা একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, ছেলে বাড়ি ফেরায় খুশি আরবাজের বাবা পেশায় আইনজীবী আসলাম মার্চেন্ট। তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সবাই খুব খুশি। সবচেয়ে খুশি আবরাজের মা। সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের সব প্রার্থনা সত্যি হয়েছে। আমরা আদালতের দেওয়া জামিনের সব শর্ত মেনে চলবো।’