টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেই
হারের ধকল কাটেনি ওমান জয়েও। এরপর পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে। মূল পর্বে এসে শুধু হারের গল্প,
ক্রিকেটাররা বের হতে পারছেন না হারের বৃত্ত থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে
জিতে মানসিকভাবে চাঙ্গা হওয়ার আকুতি করেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। সেটাও
হয়নি।
উইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াই শেষ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামার
আগে তিন দিন সময় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। অনুশীলনে না গিয়ে বিশ্রামে থাকছেন
ক্রিকেটাররা। দুই দিন বিশ্রামের পর ম্যাচের আগের দিন দুবাইয়ে আইসিসি
একাডেমিতে অনুশীলনে নামবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।
ভিডিও বার্তায় হাবিবুল
বাশার সুমন জানিয়েছেন হতাশার কথা, 'সবাই তো অবশ্যই একটু হতাশ। আজকে আমাদের
বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিন দিন বিরতি আছে। কালকে আমরা আবার বসব।
অবশ্যই আমাদের তো সামনে অনেক খেলা আছে। বিশ্বকাপে আমরা একটা লক্ষ্য নিয়ে
এসেছিলাম। সেটা পূরণ করতে পারিনি। সামনে অনেক খেলা আছে, সেখানে কিভাবে ভালো
করা যায়, এই ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে কিভাবে আরো ভালো করা যায়, সেটাই
আসলে মূলত আলাপ করব।'
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রানখরা নয়
শুধু, ফিল্ডিংয়েও বেশ ভুগিয়েছে। ক্যাচ মিসের কারণে হাতছাড়া হয়েছে ম্যাচ।
হাবিবুল বাশার জানালেন ফিল্ডিং অনুশীলন নিয়ে কোনো কমতি নেই।
তিনি বললেন,
'আমরা কিন্তু যথেষ্ট ফিল্ডিং অনুশীলন করি। আমার মনে হয়, যখন বড় কোনো আসরে
আমরা নামি কিংবা ঘরের মাটিতে খেলি, মনস্তাত্ত্বিক চাপ নিতে পারাটা
গুরুত্বপূর্ণ। এই চাপ অনেক সময়ই আমরা নিতে পারি না। তারা সবাই ভালো
ফিল্ডার। আমাদের যারা ক্যাচ মিস করেছে, তারা কিন্তু দলের অন্যতম সেরা
ফিল্ডার। তারাই ক্যাচ মিস করছে। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের ওই চাপ নিতে পারাটা
খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের বেশি কাজ করা
উচিত।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লিটন দাস একাই দুটি ক্যাচ মিস করেছেন। যার
কারণে হারতে হয়েছে হাতে থাকা ম্যাচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও একই দশা। কম
রানে যখন ধুঁকছিল উইন্ডিজ, তখন ক্যাচ মিস করেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী
হাসানরা। এভাবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ মিসের খেসারত দিতে হয়েছে বেশ
কয়েকবার।
হাবিবুল বাশার বলেন, 'অনুশীলনে তারা কিন্তু যথেষ্টই কাজ করছে।
ব্যাটিং কিংবা বোলিং অনুশীলন আলাদা হলেও ফিল্ডিং অনুশীলনটা কিন্তু সবাইকেই
করতে হয়। সুতরাং সেদিকে আমি কোনো ঘাটতি দেখছি না। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে
ক্যাচ নেওয়ার চাপ সামলানোর বিষয়টা আমাদের শিখতে হবে ভবিষ্যতে।’ সবকিছু
মিলিয়ে বাংলাদেশ শিবির যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। হতাশাগ্রস্ত ক্রিকেটারদের
একটু শান্তি দিতে পারে একটি জয়। সামনে পরীক্ষা দক্ষিণ আফ্রিকা ও
অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে। বাংলাদেশ কি হারের গ্লানি থেকে বেরোতে পারবে নাকি আরো
বিধ্বস্ত হবে?