Published : Monday, 1 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 01.11.2021 1:49:03 AM
তানভীর
দিপু: কুমিল্লায় এক নারীকে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে লাশ ফেলে দেয়ার ঘটনায়
দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গত ২৪ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর ছোটরা
এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পান্না আক্তার নামে দুই সন্তানের জননীকে খুনের
ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আবদুল্লাহ আনসারী মুন্না এবং তার সহযোগি দ্বীন
ইসলাম দ্বীনুকে রবিবার কুমিল্লা শহর থেকে গ্রেপ্তার পিবিআই। এই ঘটনায় সদর
দক্ষিণ থানায় পান্না আক্তারের মা শরীফা বেগম অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। পান্না আক্তার চান্দিনা উপজেলার বেলাশ্বর এলাকার
নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
পিবিআই জানায়, মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে-
দুই মাস যাবত পান্না আক্তারের সাথে আবদুল্লাহ আনসারীর প্রেমের সম্পর্ক
ছিলো। স্বামী ও বড় সন্তানের অনুপুস্থিতে গত ২৩ অক্টোবর রাতে তার চান্দিনার
বাড়ি ছেড়ে ছোট সন্তানকে নিয়ে নিয়ে কুমিল্লায় প্রেমিক মুন্নার বাসায় চলে আসে
পান্না। পরে প্রেম ও অর্থনৈতিক বিরোধের জেরেই মুন্না তার ছোটরার বাসায়
পান্না আক্তারকে শ্বাসরোধ করে খুন করে এবং একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে লাশটি
মহাসড়কের পাশে ফেলে দেয়। পরে ২৫ অক্টোবর মহাসড়কের পাশ থেকে বিছানার চাদর
মোড়ানো ও চটের বস্তাবন্দী লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে
কোন একসময় তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারনা করছে পুলিশ। এসময় পান্না আক্তার
ধর্ষিত হয় বলেও জানায় পিবিআই। সদর দক্ষিন থানায় মামলা দায়েরের পর প্রথমে
ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই, পরে পূর্নাঙ্গভাবে মামলাটি তদন্তভার নেই পুলিশ
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, পান্না আক্তারের
কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা পয়সা পাবার লোভে পরে মুন্না। কিন্তু পূর্বের
চাহিদামত টাকা না পাওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে হাত পা বেঁধে গলায় ওড়না
পেঁচিয়ে পান্নাকে হত্যা করে। পরে চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে বস্তাবন্দী করে। সিসি
ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে লাশবহনকারী মাইক্রোবাসটি শণাক্ত করা হয়। খুনের
দিন সকালে পান্না আক্তারের আড়াই বছর বয়সী শিশু সন্তানকে আত্মাীয় বাড়িতে
নিয়ে যাবে বলে টমছমব্রীজ এলাকায় ফেলে যায় মুন্না। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে
উদ্ধার করে কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করে।
গ্রেপ্তার মুন্নাকে নিয়ে
গতকাল রবিবার ছোটরায় মুন্নার ভাড়া বাসায় ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন পিবিআই
এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ। এসময় মুন্না ঘটনার বিস্তারিত পিবিআইকে জানায়।
পিবিআই কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এটি
একটি ক্লু লেস হত্যা মামলা। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আমীদের গ্রেপ্তার করা
হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্নার দেয়া তথ্য মতে ভিকটিমের মোবাইল ফোন
এবং লাশ ফেলে দেয়ার কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। আসামীদের
বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।