ভারতকে হারানোর পর নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালের স্বপ্ন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। বিপরীতে বিপদে পড়ে গেছে ভারত। সেমিতে যেতে তাদের এখন অন্য ম্যাচের ফলের ওপরও চেয়ে থাকতে হচ্ছে। এমনকি শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ আছে আফগানিস্তানেরও! এই গ্রুপ থেকে পাকিস্তানের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এখন গ্রুপ-২ থেকে সেমির লড়াইটা কতটা জমজমাট হয়ে উঠেছে তা দেখে নেওয়া যাক-
ভারত
খেলেছে ২টি ম্যাচ, পয়েন্ট শূন্য, নেট রান রেট: -১.৬০৯, ম্যাচ বাকি দুটি (প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ড)
শুধু বাকি তিন ম্যাচ জিতলেই হবে না ভারতের। আশায় থাকতে হবে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান যেন অন্তত একটি ম্যাচ হারে। তাহলে পয়েন্ট সমান হলে তখন রান রেট বিবেচনায় নিতে হবে। তাই বাকি তিন ম্যাচে এই রান রেট নিয়ে অনেক পরিশ্রম করতে হবে ভারতকে। নিউজিল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে হেরে যাওয়াতেই নেটরান রেট হয়ে গেছে -১.৬০৯।
নিউজিল্যান্ড
খেলেছে দুটি ম্যাচ, পয়েন্ট ২, নেট রান রেট ০.৭৬৫, ম্যাচ বাকি তিনটি (প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া ও আফগানিস্তান)
ভারতের বিপক্ষে ১৪.৩ ওভারে রান চেজ নিউজিল্যান্ডের উপকারেই এসেছে। রান রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৭৬৫। এখন বাকি তিন ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে কিউইদের। তখন আর বাকি ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে না।
তিন প্রতিপক্ষের মাঝে শুধু আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচটাই কঠিন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই ম্যাচটি হেরে গেলে তখন আবার তাদের ভাগ্য বদলে যাবে। বাকি ম্যাচের ফলাফল তখন প্রভাব ফেলবে।
আফগানিস্তান
খেলেছে তিন ম্যাচ, পয়েন্ট ৪, নেট রানরেট ৩.০৯৭, ম্যাচ বাকি দুটি (প্রতিপক্ষ ভারত, নিউজিল্যান্ড)
গ্রুপ-২ এ শ্রেয়তর রান রেট শুধু আফগানিস্তানেরই। পরের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভীষণ শক্তিশালী। দুটি জিতলেই তারা সেমির টিকিট কাটবে। তবে ভারতের কাছে হেরে কিউইদের বিপক্ষে জিতলে তখন এই রান রেটই বিবেচনায় আসবে।
আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো তাদের পরের দুটি ম্যাচই আবুধাবিতে। এই ভেন্যুতে তারা নামিবিয়াকে হারিয়েছে ৬২ নানের বড় ব্যবধানে।