সাহসী সাংবাদিকতার’ স্বীকৃতি হিসেবে ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম, যাকে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংগঠন ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড মঙ্গলবার এ বছরের 'ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড' ঘোষণা করে। রোজিনা এ পুরস্কার পেয়েছেন 'মোস্ট রেজিলিয়েন্ট জার্নালিস্ট' শ্রেণিতে। এছাড়া ভারতীয় সাংবাদিক ভাট বুরহান বছরের ‘সেরা নবাগত সাংবাদিক’ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার পেয়েছেন।
মুক্ত সাংবাদিকতা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে লড়াই করা সাংবাদিকদের প্রতিবছর এ পুরস্কার দেয় ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড। গত বছর এ পুরস্কার পেয়েছিলেন ফিলিপিন্সের সাংবাদিক মারিয়া রেসা, যিনি এ বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন।
ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড বলেছে, “আমরা দেখেছি, মুক্ত গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা এখন প্রচণ্ড চাপের মুখোমুখি। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে যে অদম্য সাহস আর নিষ্ঠা দেখিয়েছেন, তাতে আমরা মুগ্ধ।”
এ বছর 'মোস্ট রেজিলিয়েন্ট জার্নালিস্ট' শ্রেণিতে বাংলাদেশের রোজিনা ইসলামকে পুরস্কৃত করার ব্যাখ্যায় ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড বলেছে, “তিনি তার দেশের স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম প্রকাশ্যে এনেছেন এবং এখন তাকে নিজের দেশে বিচার আর দুর্বিপাকের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”
চলতিবছর ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখার পর রোজিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সরকারি ‘নথি চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। এনিয়ে সাংবাদিকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ছয় দিন পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
'ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড' এর জুরি বোর্ড বলেছে, “মহামারীর এই সংকটের সময়ে অনিয়মের তথ প্রকাশ্যে আনতে সাংবাদিকদের যে লড়াই, তার সঙ্গে আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে রোজিনা ইসলামকে হয়রানি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”