বিশ্বর প্রায় প্রতিটি দলেই একজন করে নিয়মিত লেগস্পিনার খেলছেন। আফগানিস্তানের রশিদ খান, ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, অস্ট্রেলিয়ার এডাম জাম্পা, শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গা, পাকিস্তানের শাদাব খান আর নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধিরা নিয়মিত সাফল্য পাচ্ছেন।
এর বাইরে ভারতের চাহালও অনেক বড় মাপের লেগ স্পিনার। যদিও এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাননি, তারপরও চাহাল ভারতের অন্যতম বোলিং শক্তি হিসেবে পরিগণিত। তাদের সবার সাফল্যে এখন টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটে একজন করে লেগি খেলানো প্রায় নিয়মে পরিণত হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশই একমাত্র দল, যাদের একজন লেগস্পিনারও নেই। বিশ্বকাপের রিজার্ভ বেঞ্চে যদিও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ছিলেন; কিন্তু ওমানে প্র্যাকটিস পর্ব শেষে তাকেও দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এবং সম্ভবত বাংলাদেশ একমাত্র দল যাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে একজন অনিয়মিত লেগস্পিনারও ছিল না।
অথচ মাঠে প্রমাণ হয়েছে লেগিরা অনেক কার্যকর। এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের লেগস্পিনার আদিল রশিদের ঘূর্ণি বলে কুপাকাৎ হয়েছে অনেক বাঘা বাঘা ব্যাটার। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট শিকার করে রিয়াদের দলকে ৭৩ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন অসি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। আগামীতে ভাল করতে হলে টিম বাংলাদেশেরও একজন লেগস্পিনারের খুব দরকার।
কিন্তু দলে থাকা বহুদুরে, বাংলাদেশের ক্লাব ও জাতীয় লিগ, বিসিএলে লেগস্পিনার খেলানোর চলই খুব কম। দলে থাকলেও লেগিদের একাদশে সুযোগ হয় কালেভদ্রে। এবারের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর নতুন করে শুরু করা টিম বাংলাদেশে লেগি রাখার পরিকল্পনা কতটুকু?
এ প্রশ্নও অনেকের মনেই উকিঝুঁকি দিচ্ছে। টিম বাংলাদেশের নতুন ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও লেগস্পিনারের খোঁজে রয়েছেন।
তবে তিনি স্বীকার করেছেন, আগে কোয়ালিটি লেগস্পিনার তৈরি করতে হবে। তারপর তাকে জাতীয় দলে নেয়া কিংবা খেলানোর প্রশ্ন।
এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুজন বেশ জোরের সাথে বলেছেন, ‘আগে আগামীতে দেশের ক্রিকেটে একজন করে লেগস্পিনার খেলানো বাধ্যতামুলক করে দিতে হবে। আপনি তো হঠাৎ করে লেগ স্পিন তৈররি করতে পারবেন না। এটা তো সহজ না। আমাদের যে ওই মানের লেগ স্পিনার আছে তাও না। আমাদের যদি জাম্পা থাকত, সোধি থাকত তাহলে একটা কথা। তবে আমরা এ বিষয়টিতে উন্নতি করব। আগামী প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে একটা লেগ স্পিনারকে অবশ্যই এত ওভার বোলিং করতে হবে- সেটি নিশ্চিত করে দিতে হবে। সব পরিকল্পনার ব্যাপার। ম্যাচ খেলানোর ব্যবস্থা করে দেয়াটা জরুরি।’
মাঝে জাতীয় লিগে একজন করে লেগির অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামুলক করে দেয়া হলেও পরে তা কার্যকর হয়নি। টিম বাংলাদেশের নতুন ডিরেক্টরও খুব করে চাইছেন, লেগি খেলোনোর। কিন্তু তা বাস্তব রুপ পাবে কি না, সেটাই এখন দেখার।