ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বাংলাদেশে সৃজনশীল অর্থনীতির বুনিয়াদ বিনির্মাণে
বঙ্গবন্ধুর কৃষি বিপ্লব
Published : Wednesday, 24 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 24.11.2021 2:17:09 AM
বঙ্গবন্ধুর কৃষি বিপ্লব দেলোয়ার জাহিদ ||
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা তথা  কৃষি বিপ্লব ও সৃজনশীল অর্থনীতিতে উত্তরণের পথ প্রশস্ত করেছিল। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার অসমাপ্ত কৃষি বিপ্লব উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে অচিরেই গড়ে উঠবে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে প্রথমেই আর্থ-সামাজিক উদ্দেশ্যাবলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি পঞ্চ-বার্ষিক জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। স্বাধীনতা-পূর্ব বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার ধ্যানধারণার আলোকে কৃষি, ভূমি ব্যবস্থাপনা, শিল্প, বাণিজ্য, রাজস্বখাত ও সরকারি ব্যয় ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা এ রূপরেখার মাধ্যমে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নীতিমালাকে স্পষ্ট করে তুলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ও তত্বাবধানে বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৩-৭৮) প্রণীত হয়। যা দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও বেকারদের সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, মজুরি ও  জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সমতা ভিত্তিক একটি আইন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর গুরুত্ত্বারূপ করে।
পরিকল্পিত উপায়ে দেশ গঠন এবং দেশের কৃষক তথা সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে পুনর্নিমাণ সকল কাজ অব্যাহত রাখাসহ কৃষি ও শিল্পখাত এবং অর্থনীতির প্রধান প্রধান ক্ষেত্রকে উৎপাদন সামর্থ্য ও শক্তিশালি করার উদ্যোগ নেন। দেশে খাদ্য, বস্ত্র, ভোজ্যতেল, কেরোসিন এবং চিনির মতো অপরিহার্য দ্রব্যসামগ্রীর প্রাপ্তি ও স্বল্প মূল্য নিশ্চিত করাসহ  দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ  করা  ছিলো অপরিহার্য ও  চ্যালেঞ্জ স্বরূপ।
বঙ্গবন্ধুর কৃষি বিপ্লবের ধারণা পরবর্তী বাংলাদেশে শিল্প বিপ্লবের পথকে প্রশস্ত করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই  আগস্ট আন্তর্জাতিক, দেশীয় ও আন্তঃদলীয় স্বার্থবাদী গােষ্ঠীর চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র এবং প্রশাসনযন্ত্রের বিশ্বাসঘাতকতায়  বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার কে হত্যা করা হয়। সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা লেঃ শেখ কামাল, পুত্র লেঃ শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নীপতি ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও তার কন্যা বেবি সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভ্রাতুষ্পুত্র শহীদ সেরনিয়াবাত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল আহমেদ এবং ১৪ বছরের কিশোর আবদুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়স্বজনকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতাকে। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য এবং আদর্শ থেকে দেশেকে বিচ্যুত করতে  অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ পন্থায় সরকার প্রতিষ্ঠা করে। বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত ও দৃঢ় মূল চিন্তায় সর্বস্তরের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাম্য নিশ্চিত করার ঐতিহাসিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্ণ সুযোগ হয়নি।
সেসময়ে বাংলাদেশের মতো একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ঘনবসতিপূর্ণ অপ্রতুল সম্পদের দেশকে গড়ে তোলা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি প্রণয়ন করে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করা ছিলো অসম্ভবকে সম্ভব করার একটি  বৈশ্বিক পররাষ্ট্র ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তৎসময় দেশের পরিকল্পনা কমিশন কৃষি খাতকে সতর্ক দৃষ্টিতে রেখে যৌথ চাষাবাদের ব্যবস্থা ও  গ্রাম সমবায় প্রকল্পের বিষয়টিকে অগ্রাধিকারে রেখেছিলেন।  যা ছিলো বঙ্গবন্ধুর লালিত কৃষি বিপ্লব তথা সৃজনশীল অর্থনীতি গড়ে তোলার স্বপ্ন।
ঐতিহাসিকভাবে বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন কৃষক, শ্রমিক ও ছাত্র জনতার নেতা। ১৯৫৪ সালের ১৫ মে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন প্রাদেশিক সরকারের কৃষি ও বন বিভাগের মন্ত্রী। ৩০ মে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভা বাতিল করে দিলে  সেদিনই  বঙ্গবন্ধু করাচী থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং গ্রেফতার হন। সে বছর ২৩ ডিসেম্বর তাকে মুক্তি দেয়া হয় । ১৯৫৬ সালের ৪ঠা  সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে খাদ্যের দাবিতে ঢাকায় ভুখা মিছিল বের করা হয়। পুলিশ মিছিলে গুলি চালালে ৩ জন নিহত হয়। বঙ্গবন্ধু কোয়ালিশন সরকারের  শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ এইড দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন ১৬ই সেপ্টেম্বর। ১৯৫৭ সালে সংগঠনকে সুসংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ৩০ মে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেখ মুজিব মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি ৭ আগস্ট  চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নে সরকারি সফর করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ হবার পর দেশে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি ও  আইনের শাসনের পথ কণ্টকাকীর্ণ হয়ে পড়ে শুরু হয় হত্যা, ক্যু এবং  সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। সামরিক শাসনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জেনারেল জিয়াউর রহমান পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স নামে একটি  কুখ্যাত কালো আইন সংবিধানে সংযুক্ত করে এবং  খুনিদের বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেন । এ আত্ম-স্বীকৃত খুনিদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে দেয়া  হয়।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের  নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় সংসদে  কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সটি বাতিল করেনা । জাতির জীবনে কলঙ্কময় একটি দিন এ  ১৫ই  আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস হিসেবে এই দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ। সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করছে বাংলাদেশের কৃষককুল।
বঙ্গবন্ধুর কৃষি বিপ্লবকে বাংলাদেশের ইতিহাসবিদ ও বোদ্ধা মহলে আলোচনায় নেয়ার সময় এসেছে।  আজকের কৃষি উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধির  বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে সরকারের আর্থ-সামাজিক উদ্দেশ্যাবলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই তা এখন অতীতের চেয়ে দৃশ্যমান। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য বার্ষিক, পঞ্চ বার্ষিক জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের  পটভূমিতেই  উল্লেখযোগ্য এ পরিবর্তনগুলির মাধ্যমে একটি সিরিজ ফলাফল এসেছে ।
কৃষি বিপ্লবের চাল-চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে ১৮ শতকের কৃষি বিপ্লব ব্রিটেনে শিল্প বিপ্লবের পথকে  যেভাবে প্রশস্ত করেছিল। নতুন চাষের কৌশল এবং উন্নত পশুসম্পদ প্রজননের ফলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছিলো। সে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্রম অগ্রগতি হয়েছিল তারই দিক নির্দেশ করছে।
স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে অভূতপূর্ব কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত উন্নয়ন কর্মসূচি গুলোকে "একটি বিপ্লব" এর সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উন্মুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশহের কৃষি মন্ত্রণালয় ৯টি উইংয়ের সমন্বয়ে গঠিত যা নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন, তদারকী ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বসমূহ সম্পাদন করে থাকে। সরকারের কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অধিদপ্তর/দপ্তর/ও সংস্থা রয়েছে। একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে একজন সচিব, ছয়জন অতিরিক্ত সচিব, আটজন যুগ্মসচিব, বিশজন উপসচিব, ছয়জন সিনিয়র সহকারী সচিব, আটজন সহকারী সচিব, একজন উপপ্রধান (কৃষি অর্থনীতিবিদ), একজন কৃষি অর্থনীতিবিদ, একজন প্রধান বীজতত্ত্ববিদ, দুইজন সহকারী বীজতত্ত্ববিদ, একজন হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, একজন লাইব্রেরিয়ান, তিনজন গবেষণা কর্মকর্তা, একজন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা,  একজন পরিদর্শন কর্মকর্তা, তিনজন সহকারী প্রোগ্রামার কর্মরত আছেন বলে একটি সরকারি ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে।   
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বাবলীর মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন ও টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য কৃষিনীতি প্রণয়ন, পরিকল্পনা গ্রহণ, আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষি বিপণন নিশ্চিত, আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয় সাধন এবং  নতুন কৃষি উন্নয়নে সহায়তা প্রদান।
কৃষি নীতি, পরিকল্পনা, প্রজেক্ট ও নীতিমালার বাস্তবায়ন তদারকী সহ অনেক কৃষি উপকরণ ও ভূর্তুকি বিতরণ এবং স্থানীয় এ আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষি পণ্য বিপণনের তদারকী। কৃষি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর সংস্থার উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে প্রশাসনিক ও নীতিগত সহায়তা প্রদান এবং অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধন করার  মতো দেশের অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো(বিবিএস), ২০১৮ খাদ্য শস্যের আবাদি জমির পরিমাণ ও উৎপাদন, ২০১৬-১৭ ( তথ্যসূত্র অনুযায়ী ): এক নজরে বাংলাদেশ কৃষি পরিসংখ্যান- মোট পরিবার/খানা: ২,৮৬,৯৫,৭৬৩, কৃষি শুমারি ২০০৮,  মোট কৃষি পরিবার/খানা: ১,৫১,৮৩,১৮৩, কৃষি বর্হিভূত পরিবার/খানা: ১,৩৫,১২,৫৮০, মোট আবাদযোগ্য জমি:  ৮৫.৭৭ লক্ষ হেক্টর (কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০১৭, বিবিএস) মোট ফসলি জমি: ১৫৪.৩৮ লক্ষ হেক্টর জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান:১৪.১০ (স্থির মূল্যে) ২০১৭-১৮ (ঢ়)    শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭, (বিবিএস) জিডিপিতে শস্য খাতের অবদান:৭.৩৭  (স্থির মূল্যে) ২০১৭-১৮ (ঢ়) কৃষিতে নিয়োজিত জনশক্তি:৪০.৬   তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো(বিবিএস), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইউ)  ২০১৩-২০১৪ সালের জন্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজেটের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৭ সালের ওয়েবম্যাট্রিক্স ইউনিভার্সিটির  রাঙ্কিং অনুযায়ী এটি বাংলাদেশের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পেয়েছে এবং এর গবেষণা কর্ম্ম  এশিয়া জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সুপরিচিত করে তোলেছে ।
শুধু বাংলাদেশে নয়, উন্নয়নশীল অন্যান্য  দেশেও কৃষি হল সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থান এবং দ্রুত বর্ধনশীল একটি খাত। বাংলাদেশের  ৮০% মানুষ কৃষি খাতের সাথে জড়িত। অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কৃষি  ও গ্রামীণ জনগণের জন্য বৃহৎ পরিসরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি  করে। মানবসম্পদ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি,  খাদ্য নিরাপত্তার মতো প্রধান সামষ্টিক অর্থনৈতিক লক্ষ্যকে প্রভাবিত করে এই খাত। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে মানসম্মত ভাবে  কৃষিতে ও  উচ্চশিক্ষার গুরুত্বকে অনুধাবন করেছিলেন।মানসম্পন্ন শিক্ষাদান এবং গবেষণাকে উৎসাহিত করা যা সাধারণভাবে এবং বিশেষ করে কৃষক সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চ দক্ষ এবং শিক্ষিত লোকদের বিকাশ করে।
সরকারি অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ইঝগজঅট) নামে  বাংলাদেশের গাজীপুরে একটি  ১৩তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে । ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একটি আইন (অ্যাক্ট নং ১৬) দ্বারা  এই  পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য কৃষি শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবন সাধনার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সাধ কৃষি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন বৃদ্ধি  করে বঙ্গবন্ধুর কৃষি বিপ্লবকে সফল করে তুলবে এ প্রত্যাশা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী তথা মুজিব বর্ষে।
লেখক : দেলোয়ার জাহিদ, সাবেক রিসার্চ ফ্যাকাল্টি মেম্বার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা, (সেন্ট পলস কলেজ) কানাডা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কানাডা ইউনিট কমান্ড নির্বাহী, প্রাবন্ধিক ও রেড ডিয়ার (আলবার্টা) নিবাসী।