দেশে
গত এক দিনে আরও ২৯৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু
হয়েছে ৩ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪
ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে
১৫ লাখ ৮০ হাজার ৫ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৩৪ জনের মারা গেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪৭ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৪ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন।
সোমবার
সকাল পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা
পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের।সে হিসেবে গত
এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের
মধ্যে ২৩৮ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৮০ শতাংশের বেশি। আর
যারা মারা গেছেন, তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১
অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক
বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত
হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট
মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে
মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে
করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৩ লাখ ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত
হয়েছে ২৭ কোটি ৯ লাখের বেশি রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে
সারা দেশে মোট ২২ হাজার ৭৭৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা
হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার ১০৫টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ ছিল।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন পুরুষ এবং ১ জন নারী। তাদের
মধ্যে ২ জনের বয়স ছিল ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১ জনের বয়স ছিল ৫১ থেকে ৬০ বছরের
মধ্যে।
তারা সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।