ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুন:
কিলিং মিশনে সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি নাজিমের
Published : Thursday, 16 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 16.12.2021 1:28:27 AM
 কিলিং মিশনে সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি নাজিমেরনিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল সহ জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি নাজিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। কিলিং মিশনে অংশগ্রহনকারী সদস্য ও সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামি মোঃ নাজিম তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে থাকাকালীন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদের  পর কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনে নিজেকে জড়িত থাকার কথা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি প্রদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে। পরে সে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালত-১ এর বিচারক শাহেন আরা আক্তার এর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাকে আবারো জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া  জানান, নাজিম জোড়া খুনের ঘটনায় গোলাগুলিতে অংশ নেয়। এছাড়া সে অন্যান্য আসামিদের জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রের যোগানদাতাসহ কিলিং স্কোয়াডের আরও দুই সদস্য নাজিম উদ্দিন ওরফে নাদিম এবং রিশাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এসময় তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিচারক চন্দন কান্তি নাথ আসামিদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত সোমবার রাতে জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- নগরীর শুভপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. নাজিম ওরফে নাদিম (৩০) এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. রিশাত।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকালে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থানকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে পুলিশ ও র‌্যাব এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় ৭ জনসহ সিসিটিভি ফুটেজ এবং তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কিলিং স্কোয়াডে অংশ নেয়া আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান আসামী শাহ আলমসহ ৩ জন নিহত হন।