ঘরোয়া
ফুটবলে অনিয়মিত টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপ। দেশ যখন স্বাধীনতার অর্জনের
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে তখন আয়োজন হলো স্বাধীনতা কাপের ১১তম আসর। আগের ১০
আসরের মধ্যে মাত্র একবার শিরোপা জিতেছিল ঘরোয়া ফুটবলে অন্যতম সফল দল
আবাহনী। তাও কি না ৩১ বছর আগে ১৯৯০ সালে।
দীর্ঘ এ সময়ে দুইবার ফাইনালে
উঠেও শিরোপা উদ্ধার করতে পারেনি ধানমন্ডির ক্লাবটি। অবশেষে সফল
আকাশী-নীলরা। দীর্ঘ তিন দশক পর স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের শিরোপা উদ্ধার করতে
পেরেছে আবাহনী। পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমসের হাত ধরে আবার স্বাধীনতা কাপ
ফুটবলে ট্রফি গেলো আবাহনীর ঘরে।
ফাইনালের মঞ্চে আবাহনীর প্রতিপক্ষ ছিল
বসুন্ধরা কিংস। কাগজ-কলমে কেউ কারও কম নয়। তবে মাঠে শক্তির সেই সমতা যেন
আকাশে উবে গিয়েছিল আবাহনীর দুর্দান্ত ফুটবলে। এক কথায় বসুন্ধরা কিংস
আবাহনীর সঙ্গে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি। ৩-০ গোলে ফাইনাল জিতে
আড়াই যুগ পর মর্যাদার ট্রফিটি ঘরে নিলো প্রিমিয়ার লিগের ৬ বারের
চ্যাম্পিয়নরা।
গোলশূন্যভাবে প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল। ৫৩ মিনিটে রাফায়েল
অগাস্টিনের পাস ধরে কিংসের দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে দর্শনীয় প্লেসিংয়ে গোল
করেন রাকিব হোসেন। আবাহনী ব্যবধান দ্বিগুণ করে ৬১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে।
আবাহনীর কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড বল নিয়ে বক্সে ঢুকলে তাকে ফেলে দেন রিমন
হোসেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান গোমেজ।
৭২ মিনিটে রাফায়েল
অগাস্টিনের কর্নারে ইরানি মিলাদ শেখের মাথা হয়ে বল যায় ব্রাজিলিয়ান গোমেজের
সামনে। সুযোগ হাতছাড়া করেননি ব্রাজিলিয়ান-কিংসের জাল কাঁপিয়ে আবাহনীকে
এগিয়ে দেন ৩-০ ব্যবধানে।
৩ গোলে পিছিয়ে পড়া বসুন্ধরা বাকি সময় চেষ্টা
করে ম্যাচে ফিরতে। পারেনি। উল্টো আবাহনী ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়ান সুযোগ
পেয়েছিল ৮৪ মিনিটে। রাকিবের লম্বা পাস ধরে বাম দিকে দিয়ে ঢুকে জোরালো শট
নিয়েছিলেন গোমেজ। দ্বিতীয় পোস্টে বাতাস দিয়ে বল বাইরে গেলে ব্যবধান আর
বাড়েনি আবাহনীর।