ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং বঙ্গবন্ধু
Published : Sunday, 19 December, 2021 at 12:00 AM
বিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং বঙ্গবন্ধুড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ||
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি চেতনা ও একটি জাতীয় অধ্যায়ের নাম। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এই দুটি নাম একে অপরের পরিপূরক, যা আজ ঐতিহাসিকভাবে সমাদৃত সারাবিশ্বে। একটি ছাড়া অন্যটি যেন নিষ্প্রাণ, অনুজ্জ্বল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর দীর্ঘদিনের সংগ্রাম, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের পথ ধরেই বাঙালী জাতি বিজয় অর্জন করে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে এই দেশ সকল প্রকার অন্যায় শাসন, শোষণ, নিপীড়ন থেকে মুক্তিলাভ করে, অর্জন করে স্বাধীনতা। হ্যামেলিনের বংশীবাদকের মতো বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গ্রথিত করেন। তিনি ছিলেন রাজনীতির কবি। রাজনীতিকে তিনি সৃষ্টিশীল চেতনা দিয়ে নিজের হাতে আকার দিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার অধিকারী ছিলেন। শোষক ও স্বেচ্ছাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধু পালন করেছেন ঐতিহাসিক ভূমিকা। পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শক্তির শৃঙ্খল থেকে তিনি বাঙালী জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। এ মুক্তির সংগ্রামে তিনি নিজের জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করেছিলেন। পাকিস্তানী শোষকচক্রের বিরূপ মনোভাব বুঝতে পেরে তিনি ১৯৪৭-এ দেশ ভাগ হওয়ার পর থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষ্যে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছেন এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে ছিনিয়ে আনেন মহান বিজয়। তারপর থেকে তিনি যুক্ত হন আরেক সংগ্রামে। যার মূলমন্ত্র ছিল একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠন। তিনি এই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, তিনি হয়ে উঠেছিলেন সারা বিশ্বের নেতা। সারা পৃথিবীর শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি। তাই তো তিনি বিশ্বনেতা। বিশ্বসভায় বাংলাদেশের একমাত্র ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু আত্মনিয়োগ করেছিলেন জাতি, দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক নিরাপত্তাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য।
দেশের অন্যান্য সম্ভাবনাময় সেক্টরের মতো পর্যটন শিল্প নিয়েও তাঁর পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক কারণে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা, থানা ঘুরেছেন। তিনি এই দেশের অপার সম্ভাবনা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বারবার। তাই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা লাভের পর তিনি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন যে, এই দেশের উন্নয়নের জন্য অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে পর্যটন শিল্প। পর্যটন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বঙ্গবন্ধু এর সঠিক ব্যবস্থাপনার দিকে জোর দেন। পর্যটনকে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের অন্যতম উৎসে পরিণত করতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর মূল লক্ষ্য ছিল এই দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করা। বিপিসি একটি স্ব-নির্দেশিত প্রতিষ্ঠান, যা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে পর্যটন খাতের প্রচার ও প্রসার করা। জানুয়ারি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বাংলাদেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা হিসেবে তাদের কার্যক্রম শুরু করে এবং বাংলাদেশ সরকার সেই সময় ১ কোটি টাকা অনুমোদন করে এর কর্মকা- পরিচালনা করার জন্য। বিপিসি এখন বাংলাদেশে পর্যটনের উন্নয়ন ও প্রচারমূলক কার্যক্রমের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদর্শিতা দ্বারা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য এর প্রচার ও প্রসারের কোন বিকল্প নেই এবং এ কাজ সম্পাদনের জন্য দেশে একটি সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান থাকা আবশ্যক। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম এবং অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত। বঙ্গবন্ধু তাঁর দূরদর্শিতা দিয়ে কক্সবাজারের সম্ভাবনা বুঝতে পেরেছিলেন এবং তাই তিনি এর পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। এখন বাংলাদেশী এবং বিদেশীদের ভ্রমণ তালিকায় কক্সবাজার একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। জায়গাটা নিয়ে তার দৃশ্যায়ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর গন্তব্যস্থল। নীল আকাশ, স্বচ্ছ জল এবং বালুকাময় সমুদ্র সৈকত লাখ লাখ পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এই গন্তব্যে যান। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন সেন্টমার্টিন দ্বীপকে পর্যটনের আশ্চর্য ভূমিতে রূপান্তর করার। বঙ্গবন্ধু সুইজারল্যান্ডের মতো করে বাংলাদেশকে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল কক্সবাজারকে এশিয়ার ভিয়েনা হিসেবে তৈরি করবেন। সেই লক্ষ্যে তিনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঝাউবনের গোড়াপত্তন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি সমুদ্রের অমিত সম্ভাবনাকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে উত্তরণে ১৯৭৪ সালে সমুদ্রসীমা আইন প্রণয়ন করছিলেন। তাই এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পর্যটন শিল্পেরও জনক।
১৯৭২ সালের নবেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কুয়াকাটা ভ্রমণে আসেন। তখন তিনি এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। কুয়াকাটাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করার জন্য তিনি নানামুখী পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এদেশে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এটির প্রসার ঘটাতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক ভাবমূর্তি পাল্টে যাবে। সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি।
২০২০ সালে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি। এর জন্য বর্তমানে সরকারী, বেসকারীভাবে নানা কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লেখক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্মস্থান ও কর্মময় জীবন অবলোকন করার জন্য পর্যটকগণ ভ্রমণ করে থাকেন। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মহাত্মা গান্ধী, সাউথ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলাসহ আরও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির জন্মস্থান ও দেশ দেখতে পর্যটকগণ ভ্রমণ করে থাকেন। একইভাবে আমরাও আমাদের দেশের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবন সারা পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতে পারি। বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করা, বিভিন্ন বই তৈরি করে তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ঢাকার ধানম-ির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি, যা বর্তমানে জাদুঘর এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া নিয়ে একটি পর্যটন এলাকা তৈরি করা যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবন, শৈশব, কারাগারের জীবন, সংগ্রামসহ সকল ক্ষেত্রে তাঁর অবদান তুলে ধরা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো ডকুমেন্টারি বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে মনোনীত করেছে। এই সকল বিষয় পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে প্রচার চালাতে হবে। এক্ষেত্রে জাতির পিতার প্রতিষ্ঠিত সংস্থা বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডও সহযোগিতা করতে পারে। জাতির পিতার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মজীবন সম্পর্কে জানতে পৃথিবীর অনেক দেশের পর্যটক আগ্রহী। এর মাধ্যমে এক মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও জীবন সম্পর্কে সারা পৃথিবীর মানুষ জানতে পারবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে আগামী এক বছর (১৬ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত) কান্ট্রি ব্র্যান্ডনেম হিসেবে পর্যটন বিষয়ক সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণার ‘মুজিব’স বাংলাদেশ’ ব্যবহার করার সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। গত ২০২০ সালে আমাকে সভাপতি করে এগারো সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সে কমিটিতে বাংলাদেশের পর্যটন বিকাশে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারা প্রায় সবাই ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পর্যটনে বঙ্গবন্ধুর অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয় এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের পর্যটনের অফুরান সম্ভাবনা রয়েছে। অপরূপ সৌন্দর্যম-িত ও মায়াবী এ দেশে পর্যটনের বিকাশ হচ্ছে খুব দ্রুত। প্রতি বছর লাখ লাখ দেশী ও বিদেশী পর্যটকে মুখরিত থাকে বিভিন্ন পর্যটন স্পট। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নানাবিধ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে পর্যটন থেকে আয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। মনোরম পাহাড়, দিগন্ত বিস্তৃত নদী-হাওড়, বিশ্বের সর্ববৃহৎ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, মনোমুগ্ধকর চা বাগান, আদিবাসীদের বিচিত্র জীবনধারা, অনিন্দ্যসুন্দর গ্রামীণ জনপদ, চিরসবুজ সংস্কৃতি, নানা ধরনের খেলাধুলা, স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ইত্যাদি দেখা এবং জানা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও বিদেশী পর্যটকদের জন্য তৈরি হচ্ছে কয়েকটি ট্যুরিস্ট জোন, যেখানে তারা সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশের ফলে দেশের অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থানের ব্যাপক উন্নয়ন সাধ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগে প্রতি বছরই জিডিপি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পর্যটনের অবদান বাড়ছে। দেশের বৃহত্তম পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, এমআরটি লাইন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্প ইত্যাদি চালু হলে দেশের জিডিপি যেমন বাড়বে, তেমনি কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে দেশী-বিদেশী পর্যটক দিয়ে ভরে উঠুক এই প্রত্যাশা রাখি।
লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়