ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় বিজিবি দিবস উদযাপন
Published : Tuesday, 21 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 21.12.2021 12:22:20 AM
কুমিল্লায় বিজিবি দিবস উদযাপনজহির শান্ত: গতকাল ২০ ডিসেম্বর সেক্টর সদর দপ্তর কুমিল্লা এবং কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়ন-এ বিজিবি দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিজিবি কুমিল্লা আয়োজিত প্রীতিভোজে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আনজুম সুলতানা সীমা, সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কুমিল্লা এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর হারুন, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সেনানিবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজিবি কুমিল্লার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং কুমিল্লা সেক্টর সদর দপ্তর, কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়ন এফআইডি সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বীরত্ব ও ঐতিহ্যের ধারক এবং গৌরবমণ্ডিত এক সুশৃঙ্খল আধা-সামরিক বাহিনী। ‘১৮কোটি জনতার সুখনিদ্রা’ নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ও দায়িত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে এ বাহিনীর অকুতোভয় সৈনিকেরা অতন্দ্র থেকে সীমান্ত প্রহরায় নিয়োজিত। বহু গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিজিবি তার আজকের রূপ নিয়েছে। বিজিবি'র পূর্বসুরী সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সর্বপ্রথম নামকরণ করা হয়েছিল ফ্রন্টিয়ার প্রটেকশন ফোর্স"। পরবর্তীতে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে ১৭৯৫ সালে রামগড়ে আঞ্চলিক দায়িত্বসমূহ পালনের জন্য এ বাহিনীটি গঠন করা হয়েছিল। সে থেকে বাহিনীর মূল ভূমিকা অপরিবর্তিত থাকলেও তার সাংগঠনিক কাঠামো, পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদিতে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। ক্রমবিকাশ ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার এ বাহিনী আজ ত্রিমাত্রিক বাহিনী এবং এর দায়িত্ব কর্তব্যের পরিধিও বহুলাংশে বিস্তৃত। মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে অসামান্য অবদান ও গৌরবোজ্জল ভূমিকা রেখেছে তৎকালীন ইপিআর (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। আধা-সামরিক বাহিনী হয়েও সামান্য সংখ্যক সনাতন অস্ত্রকে সম্বল করে এই বাহিনীর বীর সৈনিকবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সুমহান আত্মত্যাগের ইতিহাস রচনা করেছে জাতি তা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। সর্বোপরি নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে ৮১৭ জন বীর সৈনিক ইপিআর সদস্য শহীদ হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য এ বাহিনীর ০২ জনকে বীরশ্রেষ্ঠসহ ০৮ জনকে বীর উত্তম, ৩২ জনকে বীর বিক্রম এবং ৭৭ জন সৈনিককে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে "স্বাধীনতা পদক-২০০৮" প্রদান করা হয়।