ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
৫০০ মণ সরকারি চাল বিক্রির চেষ্টা কারাগারে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা
Published : Saturday, 8 January, 2022 at 12:00 AM
সরকারি খাদ্য গুদামের ৫০০ মণ চাল কালোবাজারে বিক্রি চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় বরিশালের বাবুগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ফরিদা খাতুনসহ (৩২) দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতার ফরিদা খাতুন ও মোফাজ্জেল খান নামের এক ব্যক্তিকে বরিশাল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে কালোবাজারে সরকারি চাল বিক্রি চেষ্টার অভিযোগ এনে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খাতুনসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবিনা পারভিন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী রসুল জমাদ্দার (৬৫), মো.বাচ্চু (৪৫), মো. সেন্টু খান (৪২) ও দিনমজুর মোফাজ্জেল খান (৬৩)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বস্তাভর্তি করা হচ্ছে-এমন সংবাদের পেয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাবুগঞ্জ খাদ্য গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলাম, ওসি মাহবুবুর রহমান, ওসি (তদন্ত) অলিউল ইসলাম, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিএম শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবিনা পারভিন।
অভিযানে গিয়ে তারা দেখতে পান ২৫ কেজির ৮০০ বস্তা (৫০০ মণ) চাল ভর্তি করা হয়েছে। সরকারি ওই চাল অতিরিক্ত দামে বাজারে বিক্রির জন্য এ কাজ করছিলেন খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদা খাতুনসহ অন্যরা। এসময় তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে আভিযানিক দল। এসময় খাদ্য গুদাম থেকে ৫১০টি সরকারি চালের খালি বস্তা এবং জোড়া কবুতর মার্কা ও ডলফিন ব্র্যান্ডের ‘মিনিকেট চাল’ লেখা এক হাজার খালি বস্তা জব্দ করা হয়। পাশাপাশি ৩ নম্বর গোডাউন সিলগালা করা দেওয়া হয়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাজুল ইসলাম বলেন, ফরিদা খাতুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যাাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়েছে। ফরিদা খাতুনসহ অন্য অভিযুক্তরা একে অপরের সহযোগিতায় উপজেলা খাদ্য গুদামের ৩ নম্বর গোডাউনে সরকারি চাল নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রি চেষ্টার অভিযোগে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফরিদা খাতুন ও মোফাজ্জেল খানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।