নিউ
জিল্যান্ড থেকে এমন ফেরা আগে কখনও হয়নি বাংলাদেশ দলের। আগের সব সফরেই দল
ফিরেছে সব ম্যাচ হেরে। এবার সেখানে টেস্ট সিরিজ ড্র করার অভাবনীয় প্রাপ্তি
নিয়ে ফেরা! তবে সেই সাফল্যের স্রোতে ভেসে যাচ্ছেন না মুমিনুল হক। বরং দেশে
ফিরেই বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলছেন, তিনি তাকিয়ে সামনের চ্যালেঞ্জগুলির
দিকে।
আগের সব সফরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সব সংস্করণে হেরে যাওয়া
বাংলাদেশ এবার সেখানে পায় প্রথম জয়ের দেখা। জয়টিও আসে এমন এক সংস্করণে,
যেটি সবচেয়ে কঠিন। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিউ জিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে
দেয় বাংলাদেশ। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে প্রথম পয়েন্টের
স্বাদও পাওয়া যায় এতে।
পরে অবশ্য সিরিজ জয়ের হাতছানিটাকে বাস্তবে রূপ
দিতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্ট নিউ জিল্যান্ড ইনিংস ব্যবধানে জিতে
নেয় তিন দিনেই। তবে সিরিজ ড্র করে ফিরতে পারাও কম নয়। ২০১১ সালের পর এই
প্রথম সেখানে গিয়ে ম্যাচ জিততে পারল উপমহাদেশের কোনো দল।
প্রায় ৬
সপ্তাহের সফর শেষে শনিবার বিকেলে ঢাকায় ফেরে দল। বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের
মুখোমুখি হয়ে মুমিনুল ব্যাখ্যা করলেন প্রথম টেস্টে সাফল্য ও দ্বিতীয়
টেস্টে ব্যর্থতার কারণ।
“কোনো ক্যারিশমা নেই, কোনো জাদু-মন্ত্র ছিল না।
আমরা আমাদের প্রক্রিয়া ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি। যে জায়গায় উন্নতি করা
দরকার, অনেক দিন থেকে চেষ্টা করছি একটা দল হিসেবে খেলার, সেটাই করেছি।
বাংলাদেশ তখনই ভালো করে, যখন দল হিসেবে খেলে। বিশেষ করে টেস্টে। একজন-দুজন
পারফর্ম করলে হয় না।”
“দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দল হিসেবে আমরা
ভালো ব্যাট করতে পারিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে মোটামুটি কাভার করার চেষ্টা করেছি
আমরা। কিন্তু টেস্টে প্রথম ইনিংসে ধস নামলে টেস্টে ফিরে আসা কঠিন।”
বাংলাদেশের
পরের সফর যেখানে, সেখানেও স্বাগতিক দলের বিপক্ষে কখনও কোনো ম্যাচ জিততে
পারেনি বাংলাদেশ। আগামী মার্চে মুমিনুলরা যাবেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। এছাড়াও এই
বছর দেশের মাঠে টেস্ট সিরিজ আছে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে, সফর আছে
ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
নিউ জিল্যান্ড থেকে ফেরার পর মুমিনুল বললেন, এখনই তিনি সামনের সিরিজগুলো নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন।
“আপনারা
এমন কিছু প্রত্যাশা করেননি, আমার দলের অনেকে ভাবতে পারেনি, হয়তো আমি করেছি
কিছুটা। আপনারা কেউই আশা করতে পারেননি যে আমরা ওখানে টেস্ট ম্যাচ জিতব।
তারপরও জিতেছি। এখন আমি সবচেয়ে বেশি চিন্তিত, পরের সিরিজগুলো নিয়ে। সামনে
অনেক ভালো সিরিজ আছে, দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ভারতের
বিপক্ষে খেলতে হবে আমাদের।”
“ওই সিরিজগুলো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং,
অধিনায়ক হিসেবে আমি মনে করি। আমাদের অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে। একটা
টেস্ট ম্যাচ জিতে খুশি থাকলাম, সেই সুযোগ নেই। আমাদের পায়ের নিচে মাটি
থাকতে হবে। প্রতিদিন আরও উন্নতি করতে হবে।”