নিজস্ব
প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে দেশে বাড়ছে
সংক্রমণ। সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হলেও ঢাকার হলিক্রস
কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের
অনেককেই তা মানতে দেখা যায়নি।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে
পড়ার মধ্যে দেশে বাড়ছে সংক্রমণ। সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে
বলা হলেও ঢাকার হলিক্রস কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা
শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অনেককেই তা মানতে দেখা যায়নি। বিশ্বজুড়ে
ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি
বজায় রয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা
বিবেচনায় ১৪ শতাংশের বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে। এই সময়ে ২৪ হাজার ২৮টি
নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৪৪৭ রোগী শনাক্ত হয়। নতুনদের নিয়ে দেশে রোগীর
সংখ্যা বেড়ে হল ১৬ লাখ ১২ হাজার ৪৮৯ জন। গত এক দিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
তাতে মহামারীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮ হাজার ১৩৬।
সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ২৯৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৭৫৩ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে।
সক্রিয় রোগী আগের দিন ছিল ২৮ হাজার ৫৮৬ জন। এই সংখ্যা এক মাস আগেও ছিল ১০ হাজারের নিচে ছিল।
মহামারীর
বছর গড়ানোর পর ডেল্টার দাপটে বাংলাদেশে দিনে রোগী শনাক্তের হার ৩২ শতাংশে
উঠেছিল ২০২১ সালে। তবে এরপর সংক্রমণের হার কমতে কমতে তলানিতে ঠেকে।
এখন আবার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০ সপ্তাহ পর শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হারও ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
শনিবার
শনাক্তের হার দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের
হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
গত
এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ২ হাজার ৮৭৩ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা
মোট আক্রান্তের প্রায় ৮৩ শতাংশেরও বেশি। দেশের ২৮ জেলায় কোনো রোগী ধরা
পড়েনি।
গত এক দিনে যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৪ জন পুরুষ, ৩ জন
নারী। তাদের মধ্যে ৪ জন ছিলেন ঢাকা, ১ জন বরিশাল ও ২ জন সিলেট বিভাগের
বাসিন্দা ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, ১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০, এবং ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ১২ জানুয়ারি তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়।
তার আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম
রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য
নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮
হাজার ছাড়িয়ে যায়।
তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৫ লাখ ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ৩২ কোটি ৩২ লাখের বেশি রোগী।