দেবীদ্বারে নির্বাচন সহিংসতা ঃ টাকা লেনদেনের ঘটনায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৮
Published : Sunday, 16 January, 2022 at 12:00 AM
এবিএম আতিকুর রগমান বাশার ঃ
দেবীদ্বার
উপজেলার ১নং বড়শালঘর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে টাকা লেনদেনের তুচ্ছ ঘটনাকে
কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে
সংঘর্ষে ৮জন আহত এবং ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায়
শুক্রবার রাতে উভয় পক্ষ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী ছোট শালঘর দক্ষিন পাড়ার জহুরুদ্দির বাড়ির সামনে রাস্তায়।
আসন্ন
ইউপ নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী সাবেক মেম্বার ফরিদ উদ্দিনের সমর্থক
জুয়েলর সাথে বর্তমান মেম্বার ও প্রার্থী আলম হাজারির সমর্থক ইদ্রিস ও
মোকাদ্দেসের সাথে টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই
গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই গ্রুপের মাঝে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি ও
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে ফরিদ উদ্দিন মেম্বারের সমর্থক মামুনের
দেকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে একই
গ্রুপের গুরুতর আহত মৃত রাজ্জাক মিয়ার পুত্র দুলাল মিয় (৫০), মৃত ময়নাল
হোসেনর পুত্র সুলতান মিয়া এবং পিয়ারু মিয়ার পুত্র অমিত হাসানকে কুমিল্লা
সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে
আছেন। অন্যদিকে আলম হাজারি সমর্থক তরু মিয়ার পুত্র মনির হোসেন, মৃত খালেক
মিয়ার পুত্র মোঃ জিকির মিয়া এবং মৃত সামসুল হাজারীর পুত্র রিপন হাজারি
দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন বলে জানাগেছে।
এ
ব্যাপারে মেম্বার পদপ্রার্থী সাবেক মেম্বার ফরিদ উদ্দিন জানান, আমার
সমর্থকদের উপর আধিপত্য বিস্তারের জন্য আলম হাজারীরর সমর্থকরা অন্যায়ভাবে
আক্রমন চালিয়ে মামুনের দোকানে লুটপাট ও ৫ জনকে আহত করেছে। ইতিমধ্যে আহত
দুলাল মিয়ার পুত্র সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে দেবীদ্বার থানায় একটি লিখিত
অভিযোগ করেছে।
বর্তমান মেম্বার ও প্রার্থী আলম হাজারি বলেন, সংঘর্ষের
মুল কারন টাকা লেনদেন নিয়ে। আমি ঘটনার সাথে সাথে উভয় পক্ষকে শান্ত করার
জন্য আপ্রান চেষ্টা চলিয়েছি। বর্তমানে ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি
পক্ষ তুচ্ছ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে অস্থিতিশীল অবস্থার তৈরি করার
চেষ্টা করছে। মৃত সেকান্দর আলীর পুত্র ইদ্রিস মিয়া বাদী হয়ে এ বিষয়ে
দেবীদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে শুনেছি।
ভাংচুরকৃত
দোকানের মালিক মামুন জানায়, আমি ফরিদ উদ্দিন মেম্বারের সমর্থক হওয়ায় আমার
দোকানে হামলা চালায় এবং দোকানে রক্ষিত বিকাশের নগদ এক লক্ষ বত্রিশ হাজার
টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
দেবীদ্বার থানার উপ-পরিষদ (এস আই) মোঃ
জহির উদ্দিন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকেই শান্ত
করে পরিস্থিতি সামাল দেই। তবে মামুনের দোকানে ভাংচরের আলামত পেয়েছি আর
লুটপাটের বিষয় অভিযোগ করেছে তা তদন্ত ছাড়া বলতে পারছি না। এ বিষয়ে শুক্রবার
রাতে দুই পক্ষ দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, তদন্ত অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, সপ্তম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেবিদ্বারে ১৫টি ইউনিয়নে ৭ই ফেব্রোয়ারী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।