‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে যেই খেলা হয়েছে, সেই খেলা চলছে। এই খেলাতে আমরা জিতবো।’
রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী হারবে না, যদি বলে কোনো কথা নেই। নৌকার বিজয় হলে সম্পূর্ণ অবদান জনগণের। আমি একটা ভোট দিয়েছি জনগণ হিসেবে। আমার তো দুই ভোট নাই, আমারও এক ভোট, জনগণেরও এক ভোট। সবকিছুর এচিভমেন্ট জনগণের। যেই খেলা হয়েছে, সেই খেলা চলছে। এই খেলাতে আমরা জিতবো।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ভোট চেয়েছেন কি না জানতে চাইলে শামীম ওসমান বলেন, ‘যার কথা বললেন তিনি আমার কাছে ভোট চাননি। তবে সে জানে, ভোট না চাইলেও আমি তার জন্য ভোট চাইবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এচিভমেন্ট হলো জনগণ স্যাটিসফাইড কি না। জনগণ সেটিসফাইড যে তারা তাদের ভোট দিতে পেরেছে। এই পর্যন্ত আমি জানি। পরেরটা পরে। প্রার্থীরাও বলেছেন তারা স্যাটিসফাইড। জনগণ যদি সন্তুষ্ট হয়, সেটাই জাতির পিতার কন্যার অ্যাচিভমেন্ট বলে মনে করি।’
‘নির্বাচনের আগে আমরা সবাই গরিবের কাছে যাই, ছবি তুলি। আপনাদের (গণমাধ্যম) সামনে পোজ দিয়ে তুলি। যাতে এই ছবির ইমপ্যাক্ট পড়ে। যারা গরিবের কাছে হাত পেতে ভোট চেয়েছে, তারা যেন গরিবের পেটে লাথি না মারে সেটাই আমার অনুরোধ।’ বললেন শামীম ওসমান।
আপনি প্রার্থী না কি প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন- এমন প্রশ্নে নারায়ণগঞ্জের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি সারা জীবন প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছি। কষ্ট সহ্যেরও ব্যাপার আছে। আমি সেটি এখনই বলবো না। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন। আমি প্রতিদিন মনে করি টুডে ইজ মাই লাস্ট ডে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমি ৬০ বছর থেকে ৬১ বছরে পা রাখবো। নাউ টাইম টু গো। আমার বাড়ির পুরুষরা বেশিদিন বাঁচেননি। আমার আব্বা, বড় ভাই, দাদু ৬০-৬৫ বছরে চলে গেছে। তাই আমার মধ্যে সাইকোলজিক্যাল একটা বিষয় কাজ করে যে, আমার চলে যাওয়ার সময় হয়েছে। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি রাজনীতিটাকে ইবাদত মনে করি।’