ওমিক্রনের
দাপটে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক দিনেই বাড়ল ৫১ শতাংশের বেশি, দৈনিক
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ফের পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৫ হাজার ২২২ জনের মধ্যে
সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত বছরের ২৪ অগাস্ট, সেদিন ৫ হাজার ২৪৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
নতুন
রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৭
হাজার ৭১১ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ১৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
৫ মাস পর নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হারও ১৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
গত
এক দিনে দেশে মোট ২৯ হাজার ৮৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাতে
শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশে। শনিবার এই হার ১৪ দশমিক ৩৫
শতাংশ ছিল।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ৩৫১ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৬৭৪ জন, যা আগের দিনও ২৮ হাজার ৫৮৬ জন ছিল।
মহামারীর
বছর গড়ানোর পর ডেল্টার দাপটে বাংলাদেশে দিনে রোগী শনাক্তের হার ৩২ শতাংশে
উঠেছিল ২০২১ সালে। তবে এরপর সংক্রমণের হার কমতে কমতে ২ শতাংশের নিচে
নেমেছিল।
এখন আবার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের
হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত এক
দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৪ হাজার ১৪১ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট
আক্রান্তের প্রায় ৭৯ শতাংশের বেশি। দেশের ৯ জেলায় কোনো রোগী ধরা পড়েনি।
গত
এক দিনে যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৫ জন পুরুষ, ৩ জন নারী। তাদের
মধ্যে ৪ জন ছিলেন ঢাকার; ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন সিলেট বিভাগের
বাসিন্দা ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ এবং ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ১২
জানুয়ারি তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। তার আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক
বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী
শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে
প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর
কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪
জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৫ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ৩২ কোটি ৬২ লাখের বেশি রোগী।