কর্মকর্তাগণের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব দেয়ার দাবিতে
Published : Sunday, 23 January, 2022 at 12:00 AM
গত ১৯ আনুয়ারি ২০২২ খ্রি. তারিখ আনুমানিক বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, ৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ১৬-১১তম গ্রেড), চারী সমিতি (২০তম-১৭তম শেড) ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ সম্মানিত রেজিস্ট্রার মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ লাভ করে বিভিন্ন পানী দাওয়ার বিষয় নিয়ে কথোপকথন হয়। নারী সমূহের মধ্যে ১২জ কর্মকর্তাদের মূল পদ দেয়া, সিনিয়র কর্মকর্তাদের শূন্যপদে নিয়োগ, আপমেডেশন সংক্রান্ত সকল শ্রেণির নীতিমালা (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি, অর্গানোগ্রাম সংশোধন, সহকারী রেজিস্ট্রার/সহকারী পরিচালক/ সমমান কর্মকর্তাদের ৩৫ ৫০০ টাকা ডেল প্রদান এবং উপ-রেজিষ্টার/উপ-পরিচালক/সমমান কর্মকর্তাদের ২ বছর পর ৫০,০০০ টাকা খেল প্রদান, কর্মকর্তা নিয়োগ, সিনিয় জুনিয়র অসামঞ্জস্য দূরীকরণ, শূন্যপদে বঞ্চিত কর্মচারীদের নিয়োগ, কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ, সার্টিফিকেট নথিভুক্তকরণ, উচ্চশিক্ষার অনুমতি এবং অন্যান্য সমস্যাবলী। অতঃপর তিনি দাবীসমূহ নিয়ে উপাচার্য মহোদয়ের সাথে আলোচনা করবেন মর্মে মন্তব্য করেন। নেতৃবৃন্দ দাবী সমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বললে রেজিস্ট্রার মহোদয় তদোত্তরে এত দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করা অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন। তারই ফলশ্রুতিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কথোপকথনে উঠে আসে যে, আপনি আমাদেরকে গত চার বছর ধরে আশারবাণী দিয়ে আসছেন। আমরা আর আশার বাণী শুনতে চাই না। আপনি বাস্তবায়ন করতে না পারলে এ পদ ছেড়ে দেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও ইউজিসির নির্দেশনা মোতাবেক এ পদটি কর্মকর্তাদের পদ। অতঃপর ৪টি সংগঠনের নেতৃবৃদ সম্মানিত রেঞ্জিটার মহোদয়ের কক্ষ থেকে বের হয়ে আসি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসার্স এসোসিয়েশন, ৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ও কর্মচারী সমিতি এবং বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সকল নেতৃবৃন্দ মিলে একই সময়ে আলাদা আলাদা ভাবে উপাচার্য মহোদয়ের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৪টি সংগঠন একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন যে, যেহেতু তিনি আমাদের সহযোগিতা করেননি এবং করবেন না, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রার পদটি কর্মকর্তাদের পদ, যেহেতু বর্তমান রেজিস্ট্রার একজন সম্মানিত শিক্ষক এবং তিনি রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সেহেতু কর্মকর্তাদের পদ ফিরে পাওয়ার নিমিত্ত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব প্রদানের দাবিতে উপস্থিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতামতের ভিত্তিতে একমত হয়ে রজিস্ট্রার দপ্তরে সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রার দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উপস্থিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতামতের ভিত্তিতে একমত হয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
শিক্ষক জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমরা সম্মানিত শিক্ষক মহোদয়দেরকে সম্মান করি। সম্মানিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আমাদের কোন ধরনের অভিযোগ ও মন্তব্য নেই। গত ১৯ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কক্ষে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের বিষয়ে আপত্তিকর, অবমাননামূলক ও শিষ্ঠাচার বহির্ভূত আচরণ করা হয়েছে মর্মে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বস্তুত, শিক্ষকদের সাথে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে কোন কথোপকথন-ই হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের নিকট কর্মকর্তাদের মধ্য হতে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব প্রদানের জন্য সম্মিলিত ভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসার্স এসোসিয়েশন, ৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ও কর্মচারী সমিতি এবং বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ মিলে একই সময়ে আলাদা আলাদা স্মারকলিপি দিয়েছি এবং অনতিবিলম্বে উক্ত দাবী বাস্তবায়নে জোর দাবী করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবী মেনে নিলে আমরা তালা খুলে দিব বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। উল্লেখ্য যে, শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম ও অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখার যে দাবী করেছে তা অযৌক্তিক। বস্তুত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সকল কার্যক্রম সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রয়েছে। ইতিমধ্যে বর্তমান রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহেরের বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় যে সমস্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির রিপোর্ট এবং অভিযোগ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তা তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী করছি।