ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
একদিনে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু
Published : Monday, 7 February, 2022 at 7:42 PM
একদিনে আরও ৩৮ জনের মৃত্যুগত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। তবে পরীক্ষার বিপরীতে কমেছে শনাক্তের হার। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা) পর্যন্ত করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৬৯ জন। এ সময়ে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বরের পর এটাই একদিন সর্বোচ্চ মানুষের মৃত্যু। সেদিন ৪৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদফতর। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক সাত শতাংশ।

এর আগে রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) অধিদফতর ৮ হাজার ৩৪৫ জন শনাক্ত ও ২৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল। এদিন শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্ত হলেন ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৯০১ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৮ হাজার ৬২৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন নয় হাজার ৫০৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ১২ হাজার ৫৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৭১টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৪৭১টি। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৮০টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৬ লাখ ২৯ হাজার ৮৫২টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ৪১ হাজার ২৮টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক সাত শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ১৬ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।

অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন, নারী ১০ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ২৭৮ জন, নারী ১০ হাজার ৩৪৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী নয় জন। এছাড়া ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী আট জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী সাত জন। ৪১ থেকে ৫০ বছর আর ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মারা গেছেন চার জন করে, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী তিন জন আর শূন্য থেকে ১০ বছর, ২১ থেকে ৩০ বছর আর ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী মারা গেছেন একজন করে।

অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে মারা গেছেন ১৬ জন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ছয় জন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে পাঁচ জন করে, সিলেট বিভাগে তিন জন, ময়মনসিংহ বিভাগে দুজন আর রংপুর বিভাগে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

৩৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ছয় জন।