মার্চ মাস থেকে খোলাবাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। তিনি বলেন, ‘আসন্ন রমজানে চালের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করতে পারি। তারপরও প্রয়োজনে ওএমএস এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। বর্তমানে সারাদেশে ২ হাজার ওএমএস সেন্টার আছে।
দেশে এবার যথেষ্ট উৎপাদন হয়েছে। মজুতও সর্বোচ্চ।’
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, ‘মোটা চালের দাম বাড়েনি। চিকন চালের দাম বেড়েছে। চিকন চালের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। চিকন চালের উৎপাদনের তুলনায় ভোক্তা বেশি। কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিকন চালের উৎপাদন বাড়াতে বলেছি। চিকন চালের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘চাল আমদানি করলে দাম কমবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানির সিদ্ধান্ত আছে, তবে সরকার আমদানির অনুমতি দেয়নি। দাম আরও বাড়লে আমদানি করা হবে। আমদানির অনুমতি দিলে শুল্ক কমাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘চালের তুলনায় আটার দাম বেশি বেড়েছে। কারণ আটার চাহিদার বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়। আমদানিতে এখন খরচ বেড়ে গেছে।’
মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘কতটা লাভে বিক্রেতা পণ্য বিক্রি করবে এর কোনও নীতিমালা না থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তবে সরবরাহ আর উৎপাদন বাড়িয়ে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মন্ত্রণালয় সরু চাল আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে, কিন্তু সরকার সরু চাল আমদানির অনুমতি দিচ্ছে না।’