‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্মৃতিচারণ ও বীরত্বগাঁথা- মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ সম্পর্কে আলোচনা সভায় বক্তারা
Published : Sunday, 6 March, 2022 at 12:00 AM, Update: 06.03.2022 12:45:35 AM
জহির
শান্ত: মুক্তিযোদ্ধারা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের কল্যাণেই আমরা
পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে। সে
লক্ষ্যে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশে। মহান
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা পরিষদ আয়োজিত
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্মৃতিচারণ ও বীরত্বগাঁথা- মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর
অবদান’ সম্পর্কে আলোচনা সভায় বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা
আরো বলেন, বাংলাদেশ উন্ময়নে অনেকদূর এগিয়ে গেলেও একটা জায়গায় শংকা তৈরি
হয়েছে। অর্থনৈতিক অসাম্য দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে
তুলতে হবে। শেখ হাসিনার দক্ষ শাসনের মাঝেও কিভাবে যেনো নির্দিষ্ট একটা
শ্রেণির মানুষ প্রতিপত্তি গড়ে তুলছে। অপর একটা শ্রেণি আগের অবস্থানেই থেকে
যাচ্ছে। এর ফলে শ্রেণি বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এ বৈষম্য দূর করতে হবে। কারণ
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত শাম্যের বাংলাদেশ গড়তে। সেই
বৈষম্য দূর করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সার্থকভাবে পূরণ হবে। বঙ্গবন্ধু
মানেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা।
কুমিল্লা জেলা পরিষদের
চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল অব. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নর্থ কলাম মুজিব বাহিনী মাউন্টেন ব্রিগেডের
কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির
বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ
সুপার ফারুক আহমেদ, জেলা মুক্তিযুদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার সফিউল আহমেদ
বাবুল, কুমিল্লা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আমিনুল ইসলাম
টুটুল, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের
প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী
লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু।