ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চট্টগ্রামে রেল কর্মকর্তা খুন
কুমিল্লা কারাগারে দুই আসামির ফাঁসি হতে পারে আজ
Published : Tuesday, 8 March, 2022 at 12:00 AM, Update: 08.03.2022 1:07:58 AM
কুমিল্লা কারাগারে দুই আসামির ফাঁসি হতে পারে আজনিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর শফিউদ্দিন হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত শিপন হাওলাদার ও নাইমুল ইসলাম ঈমনের ফাঁসি কার্যকর হতে যাচ্ছে। ঘটনার দীর্ঘ ১৮ বছর পর আজ মঙ্গলবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকর হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা কেন্দ্রিয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ। সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার কাগজকে বিষয়টি জানান তিনি। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির স্বজনেরা তাদের সাথে দেখা করেছে বলে জানা গেছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শিপন হাওলাদার (বন্দি নং ৫০৭৯/এ) চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর দক্ষিণ আমবাগানের মৃত ইউনুছ হাওলাদারের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নন্দনসার গ্রামে। অপর আসামি নাইমুল ইসলাম ঈমন (বন্দি নং ৫৭৩৮/এ) চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার ডেবারপাড় এলাকার ঈদুন মিয়া সরকারের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর পূর্ব পাড়া এলাকায়।
নিহত শফি উদ্দিন বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর উত্তর আমবাগান রেলওয়ে কোয়ার্টারের ৩৬/এ বাসায় বাসায় ঢুকে তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে ঘাতকরা।
মামলার অভিযোগপত্র ও কারাগার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী ছিলেন শফিউদ্দিন। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মদ, জুয়া ও রেলওয়ের অবৈধ সম্পদ দখলের প্রতিবাদে সোচ্চার থাকার ঘটনার জের ধরে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০০৩ সালের ১৪ জুন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার সরকারি বাসায় ঢুকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বোমা ফাটিয়ে এলাকা ত্যাগ করে ঘাতক দল।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে খুলশী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রম্নত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এ হত্যা মামলায় দুই ঘাতক শিপন ও ঈমনকে ফাঁসি, সাত আসামিকে যাবজ্জীবন এবং চারজনকে খালাস দেন।