ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়ার আরও এক শীর্ষ জেনারেল নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, তাদের সেনারা খারকিভ শহরের কাছে একটি অবরুদ্ধ শহরে রাশিয়ার এক জেনারেলকে হত্যা করেছে। এ নিয়ে ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়ার দুজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হলেন। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মেজর জেনারেল ভিতালি গেরাসিমোভ রাশিয়ার ৪১তম সামরিক বাহিনীর প্রথম ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন। গত সোমবার তিনি নিহত হন।
এর আগে রাশিয়ার আরও এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। নিহত আন্দ্রেই সুখোভেটস্কি ছিলেন রাশিয়ান সপ্তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের কমান্ডিং জেনারেল ও ৪১তম সম্মিলিত সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার। তিনি ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে নিহত হন।
ইউক্রেন বলছে, তাদের সেনাবাহিনীর হাতে রাশিয়ার ১১ হাজারের বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে রাশিয়ার দাবি সংখ্যা প্রায় ৫শ। তবে এই সংঘাতের ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়টি কোনো পক্ষ থেকেই স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
এদিকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, পশ্চিমা দেশগুলো যদি তাদের তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তবে জার্মানিতে গ্যাস পাইপ লাইনের প্রধান সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক বলেন, রাশিয়ান তেল প্রত্যাখ্যান করা হলে এর পরিনতিতে বৈশ্বিক বাজারে বিপর্যয় নেমে আসবে। এর ফলে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়ে এক ব্যারেলের দাম তিনশ ডলারে পৌঁছাবে।
রাশিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ হয় ৪০ শতাংশ এবং তেলের সরবরাহ যায় ৩০ শতাংশ। সুতরাং রাশিয়ার সঙ্গে তেল এবং গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হলে সঙ্গে সঙ্গেই বিকল্প কোনো দেশের কাছ থেকে তা পাওয়া এতটা সহজ হবে না।