প্রধান
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর
মধ্যে সমঝোতা না হলে ভালোভাবে নির্বাচন করা কমিশনের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।
আমরা চাই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে।
সিইসি
বলেন, নির্বাচনে দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা লাগবে। ভালো ইলেকশন করাটা পুরোপুরি
নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করে না। স্টেকহোল্ডার যারা আছেন, তারাও যদি
সমভাবে না আসেন, রাজনৈতিক আবহ অনুকূল না হয়, দলগুলোর মধ্যে যদি মোটামুটি
সমঝোতা না থাকে, পক্ষগুলো যদি বিবদমান হয়ে যায়, তাহলে আমাদের পক্ষে
ভালোভাবে নির্বাচন করাটা দুরূহ।
রোববার (১৩ মার্চ) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অন্য চার নির্বাচন কমিশনারও সংলাপে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন ভবনে বিকেল ৩টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময়
সিইসি বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দলকে দেখছি তারা কোনোভাবেই নির্বাচন
কমিশনকে আস্থায় নিচ্ছে না। নির্বাচন থেকে যদি দূরে থাকে, অংশগ্রহণমূলক
নির্বাচন না হয়, ঘাটতি থাকে, তাহলে সে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতায় কিছুটা
ভাটা পড়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করবো, আমাদের তরফ থেকে যত্ন করার জন্য। আপনারা
সহযোগিতা করবেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য শিক্ষাবিদদের
লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ভালো নির্বাচনের জন্য
নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছার অভাব হবে না। সামর্থ্যের অভাবের ক্ষেত্রে প্রভাব
পড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আমাদের সংলাপের উদ্দেশ্য ব্যক্ত
করা হয়েছে। এই কমিশন নবগঠিত কমিশন। কমিশনের কাজ হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও
লোকাল গভর্নমেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করা। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন
কথা বলেছেন। আগের নির্বাচন পুরো অংশগ্রহণমূলক বিভিন্ন কারণে হয়তো হয়নি।
সেজন্য আমরা চাই নির্বাচনটা (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন) যাতে আরও অধিক
অংশগ্রহণমূলক হয়।
সংলাপে ৩০ শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নেন ১৩ জন।
অধ্যাপক
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন,
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এ এফ এম মফিজুল ইসলাম,
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান
চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার, অধ্যাপক
বোরহানউদ্দিন খান, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ,
ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক লায়লুফার ইয়াসমীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসি
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ
ইয়াহিয়া আখতার সংলাপে অংশ নেন।