কুমিল্লা মাল্টি পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরাম( এমএএফ) এর আয়োজনে ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল সহযোগিতায় কুমিল্লা শহরের নজরুল এভিনিউ রোডস্থ একটি পার্টি সেন্টারে এ গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। গোল টেবিল বৈঠকে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ কবিরুল ইসলাম সিকদার, মোঃ নুর রহমান মাহমুদ তানিম, আনিসুর রহমান মিঠু।
মাল্টি পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরাম কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনুর সভাপতিত্বে ও মাল্টিপার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর বেগম এর সঞ্চালনায় এ গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আনিসুর রহমান মিঠু বলেন, আইন ও পরিকল্পনা করে নগরের জলাবদ্ধতা দূর করতে উদ্যোগ গ্রহণ করার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে । অতীতের ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসাবে গ্রহন করে মানুষের কল্যানে কাজ করে যাব। কুমিল্লার গোমতী নদীকে ক্যানেল সংযোগ করে লাকসাম পর্যন্ত বিস্তারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে । অবৈধ দখলকৃত জায়দা উদ্ধারের আইনের কঠোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে ।
মোঃ নুর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, দীর্ঘদিনের অচলায়ন ভাঙ্গার যে প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই। এটি কুমিল্লার প্রেক্ষাপটে আজকের এই প্লাটফরম একটি দৃষ্টান্ত, এই প্লাটফরম একটি সামাজিক শক্তি। জলাবদ্ধতা একটি টেকনিক্যাল সমস্যা যাকে সমাধানের জন্য একটি দায়িত্বশীল উদ্যোগ গ্রহন করা প্রয়োজন। পরিকল্পিত পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে । বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহন করে সংস্কার কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।
মোঃ কবিরুল ইসলাম সিকদার বলেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগনকে সঠিক ও সাহসী নেতৃত্ব খুঁজতে সাহসী ও সততার পরিচয় দিতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ন মূলত জলাব্ধতার মূল কারণ , অপরিকল্পিতভাবে নিউমার্কট করা হয়েছে। যার কারনে নগর আজ হুমকিতে। এই অপরিকল্পিত নিউমার্কট অপসারণে সাহসী নেতৃত্বের বিকল্প নেই। অন্যান্য সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমি সততার সাথে কাজ করতে আগ্রহী ।
গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে দৈনিক কুমিল্লার কাগজ সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয় বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজন সাহসী ও জনবান্ধব নেতৃত্ব। সেই সাথে বরাদ্দ এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে জবাবদিহিতাও।
তিনি বলেন, অতীতে যারা কুমিল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে অপরিকল্পিত উদ্যোগ নিয়ে সরকারের ও কুমিল্লাবাসীর অর্থের অপচয় করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, নগরের সমস্যা সমাধের আমি নাগরিকের ভাবনার সাথে একমু । বিভিন্ন অভিজ্ঞতাকে সমন্বয়ের জন্য নিরলসভাবে কাজ চলমান । সকল দায় যদিও সিটি করপোরেশনের, কিন্তু নাগরিদেরও রয়েছে নিজস্ব দায়িত্ব। সকল ষ্টেক হোল্ডারদেরকেও সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা প্রয়োজন। অনেক প্রকল্প গ্রহন করা হবে, যাতে আজকের নাগরিক ভাবনার প্রতিফল করা হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন জম্পি বলেন , বিভিন্ন কারণে আজ নগরের পুকুর ভরাট হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোন পুকুর ভড়াট হচ্ছে না। নগরের জলাবদ্ধতার ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান সমস্যা একটি পরিপূর্ণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা । নগরের জনগনকেও দায়িত্বশীল হতে হবে তাদেরও দায়ত্ব রয়েছে , বজ্য যেখানে সেখানে না ফেলা, এতে পানির প্রবাহ আটকে যাবে না । টমছম ব্রীজকে প্রসস্থ করনের কাজ চলমান । সিটিতে ২০৯ কিঃমিঃ ড্রেন পাকা ও সংস্কার করা হবে । সিটির পানির শেষ প্রবাহ ইউনিয়ন পরিষদ এর মধ্য দিয়ে যায়। ফলে একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। ওয়ার্ড কমিশনারের অফিসগুলোর সামর্থ্য বাড়োতে হবে । তাতে নাগরিক সেবা প্রদান করা ভালো হবে ।
গোমতি নদীকে সংস্কার করার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে ৩ টি ব্রীজ ও কার্লভার্ট তৈরী সহ নান্দনিক করা হবে । যাতে মানুষের বিনোদনের একটি স্থান হয়।
বক্তব্য প্রদান করেন দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার গাজীউল হক সোহাগ, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-জনাব সারওয়ার জাহান দোলন-দপ্তর সম্পাদক, বিএনপি, জনাব নাসরিন আক্তার মুন্নি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, আওয়ামী লীগ, জনাব জোসনা আক্তার – সভাপতি জাতীয় মহিলা পার্টি, জনাব রুপালী বেগম, সাধারণ সম্পাদক মহিলা দল- বিএনপি, জনাব জেনাকী মুনসি, জাতীয় জাতীয় পার্টি, জনাব মনোয়ারা বেগম সাকি, যুগ্ম-আহবায়ক , যুব মহিলা লীগ, জনাব কামরুনাহার দিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক, মহিলা দল- বিএনপি, জনাব সৈয়দ রাজিব, আওয়ামী লীগ, মোঃ রুবেল হোসেন, ছাত্রলীগ, মোঃ সাইফ বাবু প্রতিষ্ঠাতা, রংতুলি ফাউন্ডেশন, মোঃ মাসুদুর রহমান ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, প্রমুখ ।