হিলিতে ক্রেতার অভাবে পচছে আমদানির পেঁয়াজ
Published : Wednesday, 30 March, 2022 at 12:00 AM
পেঁয়াজ নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকলেও ক্রেতা সংকটে বিক্রি করতে পারছেন না। এছাড়া ভ্যাপসা গরমে পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ।
হিলি বাজারের পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, অনেক আড়তে এখনো গাড়ি গাড়ি পেঁয়াজ রয়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেক পেঁয়াজে পচন ধরেছে। কম দামেও পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না বলে দাবি করেন আড়তদাররা। বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ ১৬ থেকে ২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর আড়তে পচা পেঁয়াজ মাত্র পাঁচ থেকে আট টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আড়তে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আসলাম আলী বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। বিভিন্ন আড়ত থেকে দুটাকা কমে ভালো পেঁয়াজ কিনে গঞ্জের হাটে বিক্রি করি। প্রায় সবার গুদামেই পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আছে। দেখা যাচ্ছে গরমে অনেক আড়তের পেঁয়াজে পচন ধরেছে।
তিনি আরও বলেন, আড়তের নষ্ট পেঁয়াজগুলো খুব অল্প দামেই বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা। আট থেকে ১০ টাকা কেজি কিনে নিয়ে যাচ্ছি। এগুলো বাসায় নিয়ে বাছাই করে পচাগুলো ফেলে দিয়ে ভালোগুলো বিক্রি করবো। এতে আমরা যেমন কম দামে কিনতে পারছি তেমনি মানুষ কম দামে খেতে পারবে।
হিলি কাঁচা বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল আহম্মেদ বলেন, হিলির বাজারে এখন পেঁয়াজের সংকট নেই। প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। ভালোমানের ভারতীয় পেঁয়াজ ১৬ থেকে ২০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে।
আলম হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, হিলিতে পেঁয়াজের দাম আগের চেয়ে অনেকটা কম। আগে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে ভালোমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা আর যেটা পচন ধরেছে সেটা বিক্রি হচ্ছে আট থেকে ১০ টাকায়।
পেঁয়াজ আমদানিকারক রাজু বলেন, চলতি মাসের শুরু থেকেই ভারতের প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে দাম অনেকটা কম। আমদানি বাড়লেও বাজারে ক্রেতা বাড়েনি। চাহিদার তুলনায় বেশি পেঁয়াজ আসায় অনেক পেঁয়াজ গুদামে রয়ে যাচ্ছে। এতে ভ্যাঁপসা গরমে পচতে শুরু করেছে পেঁয়াজ।
তিনি আরও বলেন, খানিকটা বাধ্য হয়ে আমরা কমদামে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। এতে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। বর্তমানে যেগুলো একটু খারাপ হয়েছে সেগুলো ৮/১০ টাকা কেজি আর যেগুলো ভালো আছে সেগুলো ১৮/২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।