ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কার্ডধারী সবাই কিনতে পেরেছেন টিসিবির পণ্য
Published : Wednesday, 30 March, 2022 at 12:00 AM, Update: 30.03.2022 12:25:22 AM
কার্ডধারী সবাই কিনতে পেরেছেন টিসিবির পণ্যতানভীর দিপু:
কুমিল্লায় আবারো ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১০টি স্পটে ও কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্পটে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এই বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে। গত ২০ মার্চ এবং গতকাল ২৯ মার্চ আবার টিসিবির এই কার্যক্রম সরকারিভাবে পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলায় এই কার্যক্রমের মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ২,৬৪,৭৪৭ জন। এদিকে গত ২০ মার্চ স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লার ১৪ নং ওয়ার্ডের বুথটি স্থানান্তর করা হয়। গতকাল কুমিল্লার সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন টিসিবি’র বুথে গিয়ে দেখা গেছে উপকারভোগী মানুষের ভিড়। ফ্যামিলি কার্ডধারীদের লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনার ভিড়। সুলভ মূল্যে এসব পণ্য কিনতে পেরেই অনেকেই খুশি। কেউ আবার প্রচন্ড গরমে অস্থির হয়ে গেলেও ধৈর্য্য ধরে সংগ্রহ করেছেন তেল-ডাল।  
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, রমজান মাসেও এই কার্যক্রম চলবে। কার্ডধারী সবাই নিজেদের প্রয়োজনমত পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। গত ২০ ও ২৯ মার্চ ভর্তুকি মূল্যে যে পণ্য বিক্রি হয়েছে কুমিল্লায় কোথাও কোন অনিয়ম বা ভোগান্তির অভিযোগ নেই। কুমিল্লা জেলায় এই ফ্যামিলি কার্ডধারীরা সবাই সুশৃঙ্খল ভাবেই পণ্য সংগ্রহ করতে পারছেন।
এদিকে, ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য গত ২০ মার্চ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে স্থাপন করা হয় বিক্রির বুথ। একমাত্র বুথটি ওয়ার্ডের একপ্রান্তে হওয়ায় অনেকেই রিকশা ভাড়া ও দূরত্বের ভয়ে যান নি সেখানে। এছাড়া সেদিন অনেকেই ফিরে এসেছিলেন পণ্য না কিনতে পেরে। অভিযোগ ছিলো- স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলরের অনুমোদিত কার্ডধারীদের সে দিন কিনতে দেয়া হয়নি পণ্য। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ জায়গা মুরাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর সুবিধার কথা চিন্তা করে এই বিক্রয় বুথটি স্থানান্তর করা হয়েছে। পুরোনো বুথটি থেকেও সেখানকার কাছাকাছি মানুষ পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। রোজার মধ্যেও এই কার্যক্রম চলমান থাকার সম্ভাবনা আছে।
১৩,১৪,১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর নুরজাহান আলম পুতুল বলেন,প্রথমবার আমার দেয়া কার্ডধারীদের পণ্য কিনতে দেয়া হয় নি। কেন দেয়া হয় নি জানি না। তবে এবার ওয়ার্ডের মাঝামাঝি এলাকায় বুথ আসছে -যে যে কার্ড পেয়েছে সবাই পণ্য কিনতে পারছে। কোথাও কোন ঝামেলা নেই।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম বলেন, বেশির ভাগ বয়স্ক লোকজন এই পণ্য কিনতে আসেন। মহিলাদের সংখ্যাও বেশি। তাদের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করে কষ্ট পেতে না হয় তাই বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা ওয়ার্ডবাসীকে সহজে পণ্য নিতে সহায়তা করেছেন। এখানে বুথ থাকলে আমরা চেষ্টা করবো সবার কাছে সহজভাবে পণ্য বিক্রি করতে। প্রশাসনকে ধন্যবাদ টিসিবি বুথটিকে স্থানান্তর করার জন্য।