নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গনুইতে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বেড়েছিল প্রত্যাশা।
কিন্তু দুই ম্যাচেই হেরে হতাশ করে মুমিনুল হকের দল। এবার ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
কিন্তু সিরিজ শুরুর আগেই বাংলাদেশকে খেতে হয়েছে বড় ধাক্কা। করোনা পজিটিভ হওয়ায় চট্টগ্রাম টেস্টে থাকছেন না দলের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান। তাকে না পাওয়ার আক্ষেপ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনেরও। বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, সাকিবের না থাকাটা কপাল খারাপের বিষয়।
বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘আমাদের এখন একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেলতে হবে অথবা একজন বোলার কম নিয়ে খেলতে হবে সাকিব না থাকায়। এটা একটা সমস্যা কিন্তু এখানে কিছু বলার নেই, কিছু করারও নেই। আমাদের কপাল খারাপ যে ওকে আমরা পাচ্ছি না। আমাদের যখন দরকার হয় তখন আমরা তাকে পাই না। এখন একমাত্র আমরা প্রত্যাশা করতে পারি যে সে সুস্থ হোক। ’
এরপরই অবশ্য সাকিবের সুস্থতা কামনা করেন পাপন, ‘এটা আমাদের কপাল খারাপ। এখন দোয়া করছি সাকিব যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। কালকে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে, বলেছে ও এখন ভালো। ওর না থাকাটা তো অবশ্যই দলের জন্য বড় একটা ধাক্কা। এই কারণে যে শ্রীলঙ্কা অনেক শক্তিশালী দল। আর টেস্টে তো আমরা অনেক দুর্বল আছি। তো সে কারণে এটা একটা বিরাট সুযোগ ছিল আমাদের, এবং এখনো আছে। তো দেখা যাক সাকিবের জায়গায় যে আসবে সে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে এটাই আমরা আশা করছি। ’
কেবল সাকিব আল হাসানই নন, টেস্ট সিরিজে থাকছেন না গুরুত্বপূর্ণ দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। টিম ম্যানেজম্যান্টের জন্য চিন্তার ভাঁজটা তাই বেশ বড়। তবে এসব নিয়ে ভাবছেন না বিসিবি সভাপতি। যারা আছেন, তাদের নিয়েই আত্মবিশ্বাসী পাপন।
তিনি বলেছেন, ‘পেস বিভাগে আমাদের যদি জিজ্ঞেস করেন, অবশ্যই তাসকিন থাকলে সে খেলতো, আর শরিফুল। এখন তাসকিন নেই। শুনেছি শরিফুল ফিট, চাইলেই খেলতে পারবে। আমদের অন্যান্য পেসার যারা দেখেছি, এবাদত, খালেদ ওরাও কিন্তু ভালো খেলছে। কাজেই পেস বিভাগ নিয়ে নিশ্চিত নাই যে একেবারেই আমাদের ভালো কোনো পেসার নেই তা না। তাদের প্রত্যেকেরই প্রতিভা আছে। ’