বাংলাদেশের সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমগুলো অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটি উন্নয়নশীল দেশের উদাহরণ। কেউ যদি নিজেদের (সাংবাদিক হিসেবে) ভয় পায়, সেক্ষেত্রে সরকার বা অন্য কারও কিছু করার আছে বলে আমি মনে করি না।
বুধবার (১১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওক্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা সৎ সাংবাদিক, তাদের নির্ভয়ে কাজ করা দরকার। যারা সৎ সাংবাদিকতা করে, সমাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন ও সমালোচনা করেন সরকার তাদের পাশে আছে।
মানবাধিকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠনের প্রয়োজন আছে। কারণ দেশে দেশে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সেজন্য ইন্টারন্যাশনাল ভয়েসের প্রয়োজন আছে।
‘তবে সেই সংগঠন যখন পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে নিজেদের ক্রেডিবিলিটি (বিশ্বাসযোগ্যতা) হারায়, সেটি আমাদের পীড়া দেয়।’
অ্যামিনেস্টির ভূমিকা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দেশে যখন রাস্তায় নির্বিচারে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল, তখন তারা বিবৃতি দেয়নি। তাহলে সেই সংগঠন কি পক্ষপাতদুষ্ট নয়?
বাংলাদেশের গণমাধ্যম সূচক নিয়ে ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রকাশিত রিপোর্টের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে আফগানিস্তানে সাংবাদিকতা বলে কিছু নেই, তার নিচে বাংলাদেশকে রেখে তারাই প্রমাণ করেছে, তাদের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) রাজনৈতিক দলের মতো বিবৃতি দেয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, টিআইবির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই সংগঠনগুলো যদি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া শুরু করে, তখন তাদের গ্রহণযোগ্যতা আর থাকে না।
সংবাদ সম্মেলনে ওক্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।