Published : Sunday, 15 May, 2022 at 12:00 AM, Update: 15.05.2022 1:41:31 AM
তানভীর
দিপু: আসন্ন বহিস্কারের খড়্গ মাথায় নিয়েই কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির দুই নেতা। তারা
হলেন বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের
সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন (কায়সার)। তৃণমূলের নেতা-কর্মী আর ভোটারদের
মাছে আস্থা ফেরাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। আর দলটির
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে তাদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লা সিটির বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। গত
দুই মেয়াদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পরাজিত করে টানা মেয়র পদে
দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দায়িত্ব এড়ানোর দায়ে কিছুদিন আগে বিএনপির
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যহতি পেলেও এখনো তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। দল থেকে বহিষ্কারের শংকা থাকলেও তিনি
চান আসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে
নির্বাচনী মনোনয়নও সংগ্রহ করেছেন। মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লার বিএনপির একটি
অংশের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।
মোঃ মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমি দুইবার
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলাম। জনগণের সেবা করার চেষ্টা করেছি।
কুমিল্লাবাসীর সেবা করাতে আমার আরো কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। আমাকে সেগুলো
শেষ করতে হবে। আর সেগুলো করতে হলেই আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। দল যদি
নির্বাচনে না যায়, আমার যে পদ আছে সেটি থেকে আমাকে বহিষ্কার করে দেয় তাতে
আমার কিছু করার নেই। কিন্তু আমি দলের বাইরে না। আমাকে বহিষ্কার করুক আর যা ই
করুক আমি এই দলেরই থাকবো। আমাকে বাদ দেয়া হলে আমি জনগণের স্বার্থে সেটা
মাথা পেতে নিবো। আগামী ১৭ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দিবো। বহু কথা বহু জনে বলে,
এসবে কান দেয়ার সময় আমার নাই। আমি জনগণের স্বার্থে নির্বাচনমুখী।
কুমিল্লায়
বিএনপির আরেক প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন
কায়সার স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তিনি শহরে
বিএনপির আরেক গ্রুপের নেতা সাবেক এমপি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারী ও শ্যালক।
মোহাম্মদ নিজাম
উদ্দিন কায়সার বলেন, আমি বিএনপির অংগসংগঠনের সভাপতি। আমি বিএনপি করি, আমি
বিএনপির বাইরে না। বিএনপির আদর্শ থেকে বিচ্যুত নই। নির্বাচনে অংশ নিলে
সাময়িক াবে দলের একটি আদেশ অমান্য হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির এটা
দ্বারা উপকৃত হবে বলে আমি বিশ^াস করি। সুতরাং দল আমার যেই সাময়িক অপরাধ
সেটি বিবেচনা করবেন বলে আমি মনে করি। বহিষ্কার হলেও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে
বহিষ্কার হবো না। স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রয়োজনে আছি। এখন দল যদি আমার
বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আমি তা মাথা পেতে নেবো।
কেন্দ্রীয়
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া জানান, দলের
সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে বহিষ্কারের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারে দলের নীতি
নির্ধারকেরা। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনেও তা হয়েছিলো। বিএনপি বলেছে এই সরকারের
অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না। এই নির্দেশের কোন ব্যাতয় যারা ঘটাবে তাদেও
বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।