জহির শান্ত, কুমিল্লা ||
কুমিল্লায় আত্মহত্যার জন্য দৌড়ে এসে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন এক নারী। ট্রেন চলে যাওয়ার পর ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া ওই নারীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা চলছে তার, কেটে ফেলা হয়েছে বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ। আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই নারীর নাম বেবী বেগম। দেড় বছর পূর্বে স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর ৬ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাগিচাগাঁও এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ঘটা এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রশ্ন উঠেছে কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন তিনি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কথা হয় বেবীর ভাই মোঃ হাসানের সাথে। তিনি জানান, ‘দেড় বছর পূর্বে বেবীর স্বামী নগরীর শাসনগাছা এলাকার হেলাল উদ্দিন তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে তিনি ৬ বছরের শিশুপুত্র নেওয়াজকে নিয়ে বাগিচাগাঁও এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন। তাদের বাবা কয়েক বছর আগেই মারা যান। অভাবের সংসারের টানাটানি ও সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত বেবী এর আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। মানসিকভাবে তিনি কিছুটা অপ্রকৃতস্থ।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা বেবী বেগম জানান, ‘স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসি। অভাবের সংসার, ভাইবোন ও সন্তানের খরচ চালানো এবং তাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় আসলে আর কিছু ভালো লাগে না। তখন মনে হয় মরে যাওয়া-ই ভালো। এজন্য ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছিলাম। কেউ যদি একটু সহযোগিতা করতো- খেয়েপড়ে ভালোভাবে বাঁচতে পারতাম।’
কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, আমরা আহত অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। সকালেও দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি ভালো আছেন। তবে বাম পায়ে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন।