Published : Wednesday, 22 June, 2022 at 12:00 AM, Update: 22.06.2022 12:54:39 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মাদরাসা শিক্ষকের তিল তিল করে গড়া বসত ঘর নিমিশেই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় মাওলানা তাজুল ইসলামের বসত ঘরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের ফলে তাদের পরিহিত কাপড় ছাড়া সহায় সম্ভল বলতে আর কিছুই নেই। সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সর্বশান্ত এই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাদরাসা শিক্ষক তাজুল ইসলাম ৩ বছর আগে তার বসত ঘরের কাজ শুরু করেন। মাত্র ১ মাস পূর্বে ঘরের কাজ শেষে বসবাস শুরু করেন। সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তের মধ্যেই পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। তখন তিলে তিলে গড়া বসত ঘরটি এক নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এলাকাবাসী আগুনের লেলিহান শিখা দেখে এগিয়ে আসলেও আগুনের উত্তপ্ততা বেশী থাকায় কেউ কাছে ভিড়তে পারিনি । পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায়ই ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনেই ঘরে থাকা সকল মালামাল পুড়ে পরিবারটি সর্বশান্ত হয়ে যায়। এতে মাওলানা তাজুল ইসলামের ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা, ২টি ফ্রিজ, ৬টি খাট, সোফাসেট, আলমিরা, সুকেশ, স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং কাপড়-চোপড়সহ প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
উম্মে সাকিনা মহিলা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন, খবর পেয়ে শান্তির দূত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি। তাঁর নির্দেশ মোতাবেক হিলফুল ফুজুল এতিমখানার পরিচালক মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে খাদ্যসামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার সামগ্রী ওই পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং ঘরটি পূনরায় নির্মাণের কাজ চলছে।
আগুনের বিষয়ে মাওলানা তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ঘটনার সময় ঘরে কেউ ছিল না। আমার মেয়ের ঘরের নাতি অসুস্থ্য হওয়ায় তাকে নিয়ে পরিবারের সবাই হাসপাতাল গিয়েছিল। আমিও ছিলাম আমার কর্মস্থলে। তালাবদ্ধ ঘরে কি ভাবে আগুন লাগলো আমি তা কিছুই জানি না। তিল তিন করে ৪ বছরে আমি টিন কাঠ দিয়ে ঘরটি সাজিয়েছিলাম। এ ভাবে মুহুর্তেই আমার সব শেষ হয়ে যাবে আমি ভাবতেও পারিনি। এই কঠিন সময়ে মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে মাথাগোঁজার জন্য ঘর নির্মাণ করতে আমাকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ও নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেলসহ ব্যবহার সামগ্রী দিয়েছেন। আল্লাহ যেন তাঁকে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করেন।