পিএসএলের লভ্যাংশ নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন রমিজ রাজা
Published : Wednesday, 29 June, 2022 at 12:00 AM
পাকিস্তান
সুপার লিগের গেল আসর শেষ হওয়ার পর রমিজ বলেছিলেন, প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি
লাভ করেছে এবং তাদের লভ্যাংশের পরিমাণ ৯০০ মিলিয়ন পাকিস্তান রুপি। কিন্তু
সম্প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো জানিয়েছে, রমিজ রাজার তথ্য সঠিক নয়। সব
ফ্র্যাঞ্চাইজি লাভ করতে পারেনি। দুই-একটি পারলেও অনেকেই খরচের টাকাই তুলতে
পারেনি।
সম্প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভা শেষে
জানানো হয়, রমিজ রাজা যে হিসাব দেখিয়েছেন সেটা খরচসহ। সেখান থেকে ৪০০-৫০০
মিলিয়ন রুপি খরচ বাদ দিতে হবে। আর সেটা করা হলে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনো
লোকসানে আছে।
গেল শুক্রবার রমিজ বলেছিলেন, পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের
৮১০ মিলিয়ন করে লাভ হয়েছে। তার এমন দাবির প্রেক্ষিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো
জানিয়েছে, টিভি স্বত্ত্বের জন্য প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দিতে হয়েছে ১৩০
মিলিয়ন রুপি, হোটেল খরচ ৬৫ মিলিয়ন, ভ্রমণ খরচ ১০ মিলিয়ন, দৈনিক ভাতা ১৫০
মিলিয়ন, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট খরচ ১৪ মিলিয়ন, খেলোয়াড়দের ফিস ১৭০ মিলিয়ন এবং
কোচদের পেছনে তাদের ব্যয় ছিল ২০ মিলিয়ন রুপ। ফ্র্যাঞ্চাইজিভেদে খরচের
পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। এসব খরচ বাদ দিলে কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির লাভ থাকে
৪২ মিলিয়ন রুপি।
খরচ বাদ দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে কেবল কোয়েটা
গ্লাডিয়েটর্স ও ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের লাভ থাকবে। কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির
স্পন্সরশিপ থেকে প্রাপ্ত ইনকাম যোগ করে কিছুটা লাভ থাকছে। কিন্তু মুলতান
সুলতানের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর খরচ বেশি হওয়ায় তারা এখনো অনেক লোকসানের
মধ্যে আছে। তাদের মোট খরচ ১ বিলিয়ন রুপির বেশি। যা লভ্যাংশ থেকে প্রাপ্ত
টাকার চেয়েও অনেক বেশি।
তাছাড়া পিএসএল থেকে মোট আয়ের ৫০ শতাংশ প্রত্যেক
ফ্র্যাঞ্চাইজি মে মাসের মধ্যে পাওয়ার কথা। কিন্তু এখনো সেটা বুঝে পায়নি
তারা। পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জুলাই মাসের মধ্যে
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ৯০ শতাংশ পরিশোধ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী বাকি ১০
শতাংশ তারা ডিসেম্বরের মধ্যে পেয়ে যাবে।