নিহত খোরশেদ আলম (২২) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়ার বাসিন্দা
গোলাম হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধেও ‘মাদক ও অস্ত্রসহ আটটি মামলা রয়েছে’।
নিহতের
বড় ভাই শামসুল আলমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে থানায় আনার পথে ‘গোলাগুলিতে’
তিনি নিহত হন। শামসুল মাদক ও মুদ্রা পাচারসহ সাতটি মামলার পলাতক আসামি বলে
জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।এসপি
হাসানুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর
ইউনিয়নের মিঠাপানিরছড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনায় টেকনাফ থানার এএসআই রতন মিয়া,
কনস্টেবল শফিকুল হক, কনস্টেবল বলরাম দাস আহত হয়েছেন। তারা টেকনাফ উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেসে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ঘটনার বিবরণ দিয়ে এ পুলিশ
কর্মকর্তা বলেন, শামসুল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি দল থানায় ফেরার
পথে মিঠা পানিরছড়া বাজার এলাকায় ব্যাড়িকেড দিয়ে পুলিশের উপর সশস্ত্র হামলা
চালানো হয়।
সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি ছোড়াও হয়েছে। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ গ্রেপ্তার আসামিকে নিয়ে থানায় ফিরে আসে।এসপি
জানান, পরে শামসুলের ছোট ভাই খোরশেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে টেকনাফ উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার খবর আসে প্রথমে। খোরশেদের বিরুদ্ধেও মাদক
ও অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে আটটি মামলা রয়েছে বলেন তিনি।এদিকে, নিহত
খোরশেদের অপর ভাই শাহীন আলম বলেন, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের মিঠা পানিরছড়া
বাজার এলাকায় তার ভাই খোরশেদ আলমসহ স্থানীয় যুবকরা মিলে ব্যাটমিন্টন
খেলছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের বড় ভাই শামসুল আলমকে কয়েকজন অজ্ঞাত লোক বাড়ি
থেকে সিএনজি চালিত এক অটোরিকশায় তুলে টেকনাফের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।“ এ
খবর পেয়ে দেড় কিলোমিটার দূরে মিঠাপানিরছড়া বাজার এলাকায় গাড়িটি ধরার জন্য
সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে শামসুলকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে গুলি করা
হয়। পরে গাড়িটি তার ভাই শামসুল আলমকে নিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।“গাড়ি
থেকে করা গুলিতে ছোট ভাই খোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত
ঘোষণা করেন। “মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।