কুমিল্লার দেবিদ্বারে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়ড়া জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এই আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবু খায়েরের ছেলে আবদুল কাদের তার দুই ছেলে-মেয়েকে রেখে স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে ২০১০ সালে তালাক দেন। আয়েশা বেগম পরবর্তিতে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী নেয়। ২০১৩ সালের আগষ্ট মাসে এক ঈদে সে ওই উপজেলার রাজামেহের গ্রামের বাবার বাড়ীতে বেড়াতে আসে। এসময় আয়েশা ও তার মা মাজেদা বেগমসহ পার্শ্ববর্তী গুনাইঘর গ্রামে মামার বাড়ীতে বেড়াতে যান। বেড়ানি শেষে ওই বছরের ১২ আগষ্ট সন্ধ্যায় বাবার বাড়ী ফেরার পথে আগে থেকে উৎপেতে থাকা আবদুল কাদের পথরোধ করে আয়েশাকে
তার সাথে তার বাড়ীতে ফেরার জন্য বলে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবদুল কাদের আয়েশার পেট ও বুকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় মা মাজেদা বেগমের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন কাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়। ঐদিন রাতেই আয়েশার বাবা আবুল হোসেন থানায় মামলা করেন। পুলিশ আবদুল কাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জসিট দাখিল করে। এতে ১৩ জন স্বাক্ষী আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
বুধবার আদালত আসামিকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আসামি আবদুল কাদের জামিন নিয়ে পলাতক অবস্থায় রয়েছে।