কুমিল্লা মহানগরীর রেইসকোর্সে অবস্থিত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-সহকারি প্রকৌশলীর কার্যালয়। কুমিল্লা ইস্টার্ণ প্লাজা সংলগ্ন বিশাল ভূমিতে গোমতি নদীর বাম পাড় (নদীর দক্ষিণ পাশের বাঁধ) পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছেন উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান।
ওই কার্যালয়ে ৪জন স্টাফ কর্মরত রয়েছেন। একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলী, একজন ওয়ার্ক এ্যসিটেন্ট, ২জন পিয়ন। কাগজপত্রে তারা প্রতিদিন ওই কার্যালয়ে অফিস করলেও কার্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা খোলা হয়না কতদিন তার কোন হিসাব নেই।
দীর্ঘদিন যাবৎ এ কার্যালয়ে জনমানুষের যাতায়াত না থাকায় ঘাসগুলো বেড়ে হয়েছে প্রায় এক ফুটেরও বেশি।
কার্যালয়ের সীমানা প্রচীরের ভিতরে থাকা পূর্ব দিকে রয়েছে একটি টিনসেড বিল্ডিং। কাগজপত্রে ওই ভবনেই চলে উপ-সহকারি প্রকৌশলীর দিনদিনের কর্ম। কিš‘ ভবনের তালাগুলোতে জং ধরেছে। দরজার সামনে বড়ই কাঁটা দেওয়া! ঘাস, গাছ-পালা, লতা-পাতায় ও মানুষের ফেলা আবর্জনায় অব¯’াদৃষ্টে দেখা যায় যেন পরিত্যক্ত অব¯’ায় পড়ে আছে উপ-সহকারি প্রকৌশলীর ওই কার্যালয়টি।
¯’ানীয় এক ব্যবসায়ী জানান- গেইটের সামনে সাইন বোর্ড আছে, কিš‘ গত এক বছরের মধ্যে কেউ এখানে এসেছে কিনা আমরা দেখিনি। সন্ধ্যার পর বখাটেরা দেয়াল অতিক্রম করে ভিতরে গিয়ে নেশা করে। রাতে একটি লাইটও জ্বলতে দেখি না।
উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তিনি কোথায় অফিস করেন জানতে চাইলে তিনি জানান- ‘আমি রেইসকোর্স ও টমছম ব্রীজ অফিসে বসি।’ রেইস কোর্স অফিসে গিয়ে তো আপনাকে পাইনি এবং সেখানে আপনারা কেউ যান না বলে জানিয়েছেন ¯’ানীয়রা।
এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- ওই কার্যালয়ের টেবিল, চেয়ার, আলমারি সবই রয়েছে। মূলত রাস্তা উঁচু হওয়াতে ওই ভবনের ফ্লোরে বর্ষাকালে পানি জমে থাকে। তাই যাওয়া হয়না। ভবনের ফ্লোর উঁচু করে অফিস করতে হবে। এছাড়া আমাদের ঝাউতলা কার্যালয়ে নির্মাণ কাজ চলছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্র্যন্ত সেখানেই থাকতে হয়।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী আবু তালেব জানান- মূলত আমাদের প্রধান কার্যালয় ঝাউতলাতে। সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। যে কারণে আমাদের সকলেই অ¯’ায়ী ভাবে টমছমব্রীজ কার্যালয়ে বসি। আর রেইসকোর্স কার্যালয়টিতে গোমতির বাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য মালামাল থাকে। উপ-সহকারি প্রকৌশলী বসলেও গোডাউন হিসেবেই রয়েছে বেশি অংশ।