নিজস্ব
প্রতিবেদক:গত এক দিনে দেশে আরও ৪৩৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা
পড়েছে; এপ্রিলের পর প্রথমবারের মত দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নেমে এসেছে ৩
শতাংশের নিচে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪
হাজার ৯৮৫টি নমুনা পরীা করে দেশে ৪৩৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা
পড়েছে।
তাতে দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর দেশে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৫ জন হয়েছে। করোনাভাইরাসে
আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে দেশে মৃতের
সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৮ হাজার ১৬২ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে
বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫৭৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে।
তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ
পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন
কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী
শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে
গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের
সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০
কোটি ৩৮ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ লাখ ৫৩ হাজার। জনস হপকিন্স
বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে
বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি
জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬২টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট
২০৬টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৯৮৫টি নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে
৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের
হার ২ দশমিক ৯২ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক
৫২ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৭টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার ৬৯৭টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ আর নারী ২ জন। তাদের মধ্যে ১১ জন হাসপাতালে ও ২ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের
মধ্যে ৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২
জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে
ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৮ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন করে মোট ৪ জন চট্টগ্রাম ও
খুলনা বিভাগের এবং ১ জন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত
মারা যাওয়া ৮ হাজার ১৬২ জনের মধ্যে ৬ হাজার ১৮৮ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৭৪
জন নারী।
তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫২৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২
হাজার ৩৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের
মধ্যে, ৪০৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০
বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০
বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ৫৪৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৯৭ জন
চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৩ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৭ জন
বরিশাল বিভাগের, ৩০৬ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯০ জন
ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।