ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
তিতাসে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ৫
Published : Monday, 8 February, 2021 at 12:00 AM
কবির হোসেন, তিতাস ঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় সড়ক ও জনপদের একোয়ারকৃত ভূমি দখল নিতে গিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ নারীসহ ৫জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে স্বজনরা উদ্ধার করে তিতাস স্বাস্থ্য কমপেলক্স নিয়ে চিকিৎসা করান। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে উপজেলার দড়িকান্দি কুড়ের পাড় এলাকায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গৌরিপুর- হোমনায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ ভূমি একোয়ার করে সড়ক নির্মাণ করলে দুই পাশের অবশিষ্ট জায়গাগুলো তারাই ভোগ দখল করে আসছে। এদিকে সড়ক ও জনপদের সাবেক কর্মচারী একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ফজলু মিয়া দড়িকান্দি এসে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে এবং মাছ চাষ করার জন্য সড়ক ও জনপদের জায়গা লিজ নিয়ে দখলে নিয়ে নেয়। লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভূমির মালিকগণ দখলে গেলে ফজলু মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির জুয়েল বাধা দেয়। এবিষয়ে ভূমির মালিকগণকে নিয়ে শনিবার দুপুরে তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহম্মেদ ফকির ও সদর কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন ভূইয়া উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে বসলেও কাগজপত্র পর্যালোচনা করতে সময় লাগবে বলে পরবর্তীতে আবারও বসবে বলে সকলে চলে যায়। এদিকে ভূমির মালিকগণ বাড়িতে গিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ভূমি দখল নিতে গিয়ে উভয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় উভয় পক্ষের ৪ নারীসহ ৫জন আহত হয়। আহতরা হলো নাজমা (৩০), মোর্শেদা(৩৫), মাফুজা(৩৮), নাজমা(৩৫) ও ফজলু মিয়া (৭০)।
এবিষয়ে ফজলু মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির জুয়েল বলেন, ২০০৯সালে আমি সড়কও জনপদ থেকে উক্ত ভূমি মাছ চাষের জন্য লিজে এনেছি, শনিবার বিকালে রুহুল আমিন গং আমার বাড়িতে এসে হামলা ও ভাংচুর করেছে।  অপরদিকে ভূমির মালিক রুহুল আমিন বলেন আরএসসিএস মূলে ভূমির মালিক হয়ে ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ করে ফজলু মিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগে চাকরী করার সুবাদে গোপনে ভূমিটি লিজে নিয়ে নেয়। এখন লিজের মেয়াদ শেষ তাই আমরা আমাদের জমি আমরা ভোগ দখল করতে গেলে আমাদেরকে হুমকি দেয় এবং মারধর করে।
এবিষয়ে সদর কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন ভূইয়া বলেন, যুবলীগ নেতা জুয়েল ২০১৫ সাল পর্যন্ত লিজ এনেছে। বর্তমানে লিজ নবায়নের উপর হাইকোর্ট এস্ট্রে করেছে, তাই উভয়কে বলা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান সময় করে আবারও বসে সমাধান করা হবে। তিতাস থানার এসআই হাকিম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছি। এঘটনায় থানায় উভয় পক্ষই পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করেছে।