বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সঙ্গে কথিত বন্দুক যুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
সোমবার ভোর রাতে ঘুমধুম ইউনিয়নের গর্জনবুনিয়া চাকমা পাড়ায় এর ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানান বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার লম্বাশিয়া ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৩ ব্লকের ফোরকান আহমদের ছেলে মো. জোবায়ের (২৮) এবং একই ক্যাম্পের সি-ব্লকের আমির হামজার ছেলে দীল মোহাম্মদ (২৫)।
ঘটনার বিবরণে লে. কর্নেল আলী হায়দার বলেন, সোমবার ভোর রাতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান আসার খবর পেয়ে বিজিবির দুইটি দল নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের গর্জনবুনিয়া চাকমা পাড়ায় পাহাড়ি ঢালুতে অবস্থান নেয়।
এক পর্যায়ে মিয়ানমার সীমান্ত পার হয়ে সন্দেহজনক ৫ থেকে ৬ লোককে আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা তাদের থামার জন্য নির্দেশ দেয়। এ সময় ওই লোকরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে অতর্কিতে বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। বিজিবির সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে বলেন তিনি।
এরপর ওই লোকগুলো অন্ধকারে পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান লে. কর্নেল আলী।
" গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে ২ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনায় বিজিবির ২ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ২টি দেশে তৈরি বন্দুক এবং এক লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়।
“গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।”
আহতদের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ২ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন বলেন বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।