ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার ও সোমবার দুই দফায় সংঘর্ষে প্রায় ২০টি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাবুরবাজারে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চতুল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং যুবলীগ নেতা শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটুর পক্ষে নির্বাচনী সভা হওয়ার কথা ছিল। এসময় অপর এক সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং যুবলীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় হাসমত শেখ তার অনুগতদের নিয়ে ওই সভা বানচাল করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসময় উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালীন তিনটি দোকান ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে হাসমত শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া পোয়াইল গ্রামের রবিউল মোল্যা, আবজাল মোল্যা, উজ্বল শেখ, জামাল মাতুব্বরকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে হাসমত শেখের সমর্থকরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের বাড়িসহ প্রায় ২০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে মিন্টু মোল্যা নামে অপর একজন আহত হয়।
সিরাজুল ইসলামের ভাতিজি লাইজু বেগম জানান, সোমবার সকালে অতর্কিতভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
এ ব্যাপারে চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটু বলেন, আমার একটি নির্বাচনী সভা এবং সভা শেষে গণসংযোগ হওয়ার কথা ছিল। অথচ আমার প্রতিপক্ষের লোকেরা সহিংস উপায় অবলম্বন করে আমার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বানচাল করেছে। আমার লোকেরা বাধা দিলে তাদের বেধড়ক মারধর করেছে এবং ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।