শান্তিরঞ্জন ভৌমিক ।।
অনেক
আগে পৃথিবীর লোকেরা জানত, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে। অনেক পরে
প্রামাণিকভাবে জেনে যায়, পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘুরে। সূর্য পৃথিবী থেকে
অনেক গুন বড়। তার আলোর প্রভা এতটাই প্রখর, তা বিশ্বকে আলোকিত করে রেখেছে।
সূর্য যেদিকটায় উদিত হয়, তখন মানুষ-পশুপাখি-গাছপালা জেগে উঠে। কবিতায় বলা
হয়
ভোর হলো দোর খোল
খুকুমণি ওঠরে। .....
আবার বলা হয়-
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। .....
অথবা-
পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল,
কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল। ......
সূর্য উঠলে আর কেউ বিছানায় থাকতে চায় না। মা যখন বলে ‘শিশু, আর একটু ঘুমাও’। শিশুটি বলে উঠে-
‘আমরা যদি না জাগি মা
কেমনে সকাল হবে। ....
সুতরাং সূর্য আমাদের জাগিয়ে দেয়। তার সঙ্গে আমাদের চিরন্তন সম্পর্ক হলো- ‘সূর্যি মামা’।
আমরা এখন আর সূর্যমামাকে দেখতে পাই না। এদিকে আবাসনের প্রাবল্যে আকাশ
ঢেকে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে রাতে কখন ঘুমাই, আবার দিনের বেলায় কখন জেগে উঠি,
তা নিজেই জানি না। একমাত্র গ্রামাঞ্চল ছাড়া পৃথিবীর অধিকাংশ লোক সূর্য
উঠার অনুপম দৃশ্য দেখতে পায় না। প্রত্যুষ-ভোর-প্রভাত-সকাল-এই মিষ্টি মধুর
সময়টুকু উদ্যাপন কতজনই উপভোগ করতে পারে? আমার মনে হয়-আমরা যারা সূর্য-উঠার
দৃশ্য দেখিনা, দেখতে পাই না, তারা হতভাগ্য। তাই অনেক টাকা খরচ করে
সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে সমুদ্রের পাড়ে ভীড় জমাই। অর্থাৎ অস্ত বা ধ্বংসটাকে
উপভোগ করার জন্য মেতে উঠি। সূর্যাস্তের পর শুধুই অমানিশা। মানুষ আস্তে
আস্তে অন্ধকারের গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। হতভাগ্য সভ্যতার অভিযাত্রা।
আমরা লেখাপড়া শিখেছি শিক্ষকের কাছে। শিক্ষক বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাঠদান করতেন,
বিনিময়ে যা পেতেন, তা সান্ত¦নার উপঢৌকন। পাঠদান, জ্ঞানদান ইত্যাদি ছিল
মহানুভব শিক্ষকবৃন্দের নেশা। তাঁরা সম্মান পেয়ে থেকেছেন, সাথে দারিদ্র্যের
অমিয় ভান্ডারটি বহন করে। এই শিক্ষকতা যখন পেশা হিসেবে আপন মহিমায় আবির্ভূত
হলো, তখন শিক্ষাদান-জ্ঞানদান বিষয়টি হয়ে গেলো পণ্য। এখন শিক্ষকগণ শিক্ষাদান
বা জ্ঞানদান করেন না। তাঁরা এখন শিক্ষা-পণ্য বা জ্ঞান-পণ্য বিক্রি করেন।
ফেরিওয়ালা সেজে নয়, এখন শিক্ষকগণ-দোকান সদৃশ কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট হোম,
গুরুগৃহ ইত্যাদি নাম দিয়ে দোকান খুলেছেন, সেখানে শিক্ষা-পণ্য বা জ্ঞান-পণ্য
কিনতে ছাত্র-ছাত্রী ভীড় জমায়, অর্থ জোগানদারী অভিভাবকগণ দর কষাকষি করে
থাকেন। এই সব দোকানের মনকাড়া আকর্ষণ। এসব দোকানে স্কুল-কলেজ-মেডিকেল কলেজ
যাবতীয় প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য শিক্ষা-পণ্য বিক্রি হয়, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
হওয়ার জন্য পণ্য বিক্রি হয়, এবং এক সময় জ্ঞান নামক পণ্যটি অচল হয়ে পড়ে। আগে
শিক্ষকদের পা ছুঁয়ে প্রণাম জানানো হতো, এখন স্যালোট দেওয়া হয়। আগে ছাত্ররা
অমনোযোগী হলে, দুষ্টুমি করলে শিক্ষকেরা শাসন করতেন, এখন তাঁরাই শাসিত
হচ্ছেন। হবেনই না কেন? কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য যখন যুবলীগের সভাপতির
পদ প্রাপ্তির আশ্বাস পেলে গৌরবদীপ্ত উপাচার্য পদটি ছাড়তে ইচ্ছে পোষণ করেন,
অধিকাংশ উপাচার্যরা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পদটি লাভ করে পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে
পারেন না, পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান, তাদের নাম উচ্চারণ করতেও মন সায়
দেয় না। সুতরাং জ্ঞান বিতরণ নয়, পণ্য বিক্রি। পত্রিকায় দেখলাম-কোনো
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এক বিভাগের ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা ৬০/৬৫জন, শিক্ষক ৭৬জন।
সব যেন উল্টোপাল্টা। মনে হয় শিক্ষক ছাত্র পড়ায় না, ছাত্ররাই অনুগ্রহ করে
শিক্ষক প্রতিপালন করছে।
৩০/৪০ বছর আগে মানুষ অসুস্থ হলে, ডাক্তার
ডাকা হতো। যথারীতি ডাক্তার আসতেন, লোকিক পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করে
ঔষধপত্রের ব্যবস্থা করতেন, অনেক সময় ঔষধ নিয়েও আসতেন। রোগী আরোগ্যলাভ করত।
এখন আর রোগীকে লৌকিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না। প্রয়োজনহীন কতগুলো
পরীক্ষা করানোর নির্দেশ জারি হয়, তারপর চিকিৎসা চলে। রোগ ভালো হয় না, তা
বলব না। কিন্তু চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী হয় অথবা আজীবন চিকিৎসার নামে রোগকে
প্রতিপালন করতে হয়, ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। তার আবার সাংবিধানিক নির্দেশনা
জারি আছে-প্রথমবার এতটাকা, একমাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার এতটাকা, তিনমাস পর
আবার পূর্বের ক্রম। মজার ব্যাপার হলো- এখন আর ডাক্তার ডাকা হয় না।
ডাক্তারের কাছে যেতে হয়, রোগী মর মর হলেও উপায় নেই। পরিচিত বা ঘনিষ্ঠ
ডাক্তারকে অনুরোধ করলেও তিনি বলেন হাসপাতাল বা কোনো কিèনিকে ভর্তি করিয়ে
দেন। বাসায় রাখা ঠিক হবে না। এ নির্দেশনার ঠিকানা একেক ডাক্তারের ভিন্ন
ভিন্ন, সার্বজনীন নয়।
ডাক্তারি পেশা হলো সেবামূলক। মানুষের
জীবন-মরণের সম্পর্ক। মানবিকতা প্রদর্শনের তীর্থ ক্ষেত্র। এ পেশায় আমার জানা
মতে কিছু প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এ পেশা পণ্য বিক্রি তুল্য নয়। একজন রোগীর
কাছে ভগবানের পর ডাক্তারের স্থান। তার কাছে সব বলা হয়, তার কাছে বাঁচার
জন্য আকুতি জানানো হয়, ডাক্তার কাছে আসলে স্বস্তি লাভ ঘটে। তাই তিনি দেবতা।
এখন ডাক্তারি আর সেবা নয়, পেশা। অর্থ-মূল্যে পণ্য বিক্রি। রোগ বা রোগী হলো
ক্রেতা। আমরাই স্বীকৃতি দিয়েছি। নামকরা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করতে গিয়ে
নিঃস্ব হতে হয়। অবশ্য যাদের অর্থ আছে তারাই সেখানে ভীড় জমায়। মান-সম্মানের
ব্যাপার। মারা গেলেও শোকসংবাদ পরিবেশনে কোনো নামী প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন
জীবনপাত করেছেন, তা সগৌরবে প্রচারিত হয়। মরতে রাজী আছি, তবে সম্মানজনক
প্রতিষ্ঠানের বিছানায় মরতে না পারলে মান-সম্মান থাকে কই?
মনে পড়ে,
আমার ইউনিয়নের যিনি প্রেসিডেন্ট, পরে চেয়ারম্যান ছিলেন (দাউদকান্দি থানার
২২নং মাহাম্মদপুর ইউনিয়ন) তাঁর নাম আবদুল মান্নান ভূইয়া। তিনি পঞ্চম শ্রেণি
পর্যন্ত পড়েছিলেন। বিষয়-সম্পত্তি অঢেল। সজ্জন ও পরোপকারী ব্যক্তি। লেখাপড়া
বেশি না করলেও তিনি যাঁদের সঙ্গে চলতেন বা রাখতেন অথবা পরামর্শ
নিতেন-তাঁরা হলেন স্বর্গীয় উমেশচন্দ্র দাশমুন্সী বি,এ। স্থানীয় স্কুল
কমিটির সেক্রেটারী। জমিদারপুত্র। তাঁদের জায়গায় ইউনিয়ন কাউন্সিল, পোস্ট
অফিস, দাতব্য চিকিৎসালয় এবং সকালের বাজার (আড়ং)। তিনি শচীনকর্তার সহপাঠী
এবং তবলচী ছিলেন। অন্যজন জয়গোবিন্দ ভৌমিক, তিনি মেট্রিক পাশ, মহেন্দ্র
কুমার নাথ, স্কুল শিক্ষক, মহবৎ আলী ভূইয়া, স্বল্পশিক্ষিত হলেও বিচক্ষণ।
তাঁরা নিজেরাই চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতা রাখতেন। আবদুল মান্নান ভূঁইয়া
তাঁদেরকে পাশে রেখেছেন। এক নাগাড়ে ত্রিশ বছর চেয়ারম্যানগিরি করেছেন, তাঁর
মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে দুধ মিয়া ভূঁইয়া সাবও দশ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন।
যেহেতু অর্থকড়ির অভাব ছিল না, যেজন্য তাঁরা এখনও সচ্ছল, বিত্তশালী। এ
পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম উচ্চতর লেখাপড়া করে চাকরি/ব্যবসা করেছে, রাজনীতির
সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ নেই। কিন্তু পার্শ¦বর্তী ইউনিয়নের (১৫নং মারুকা
ইউনিয়ন) চেয়ারম্যান মরহুম কাসেম আলী গোলদার আটাশ বছর
প্রেসিডেন্ট/চেয়ারম্যান থাকার পর মোটামুটি ভিটিবাড়ি ছাড়া বিষয়সম্পত্তি
সবকিছুই বিক্রি করে নি:স্ব হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গী-সাথি ততটা ভালো ছিল না।
তিনি একাই চলতেন। বর্তমান সময়ে যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন,
তাঁদের সঙ্গী-সাথি যারা, তাদের দেখলে জনগণ ভয় পায়, আতংকিত হয়। তারাই
জনপ্রতিনিধিকে ঘেরাও করে রাখে, পাহারা দেয়। জনপ্রতিনিধি তাদের অভিভাবক,
সঙ্গীয় ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধির পদকে স্থায়ী করণের জন্য জীবনপাত করতে
প্রস্তুত। এতে উভয়পক্ষের লাভ অঢেল। সঙ্গীদের জীবন-মান উন্নত না হলেও দিনকাল
ভালোই চলে, জনপ্রতিনিধিগণ আর কেউ কাসেম আলী গোলদার হন না, তারা হয়ে যান
বিত্তশালী, প্রভাবশালী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জনগণ চিনতে পারলেও ভয়-ভীতিতে
বাধ্যগত। এখন রাজনীতি আর জনসেবা নয়, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, নির্বাচনের সময়ে
মূলধন খাটাতে হয়, ‘লাগ ভেলকি লাগ’। যদি লেগে যায়, তাহলে পাঁচ বছরের জন্য
পরম বিক্রমশালী ক্ষমতাধর মহারাজা। কাউকে সালাম বা নমস্কার করতে হয় না, কেবল
পেতে থাকেন, প্রতি-উত্তর দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। অন্যেরা দিয়েই ধন্য, পেয়ে
ধন্য কীনা জানি না, তবে সব সময় অসন্তুষ্টি অসন্তুষ্টি ভাব। যদি কোনো কারণে
হাসেন, সঙ্গীয় পারিষদরা জয়ধ্বনি দিতে থাকে। রাজনীতি যাঁরা করেছেন, তাঁদেরকে
জনসেবক বলা হতো। জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সামগ্রিক প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ
গ্রহণ করতেন, তা বাস্তবায়নে সার্বিকভাবে জীবনকে উৎসর্গীত করেছেন। নিজেদের
লাভ-ক্ষতির কথা কোনোদিন ভাবতে পারেননি। তবে হ্যাঁ, লাভ হলো-এখনও বা
ভবিষ্যতেও তাঁদেরকে মানুষ-সমাজ-দেশ-জাতি স্মরণ করে, করবে। তাঁরা তাঁদের
প্রজন্মের জন্য সুনাম রেখে গেছেন, কিছু দিয়ে যেতে পারেননি। এখন বিষয়টি
যেহেতু ব্যবসায়িক আভিজাত্যে লগ্নি বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভ-ক্ষতিটি বিবেচনার
শীর্ষে অধিষ্ঠিত, সুতরাং পরবর্তী প্রজন্ম কয়েকপুরুষ জীবন-যাপনের বিষয়টি
নিশ্চিত-নিরাপদ ঠিকানাটি স্থায়ীকরণ হচ্ছে।
পৃথিবী একটি গ্রহ। এরূপ
অনেক গ্রহ-নক্ষত্র সূর্যকে নিরন্তর প্রদক্ষিণ করে থাকে। তাই পৃথিবীর মানুষ
এখন অন্য গ্রহে পৌঁছার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যতদিন জানত সূর্যই
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, ততদিন মানুষ অন্য গ্রহের কথা বা অন্য গ্রহে যাওয়ার
কথা ভাবেনি। এখন ভাবে। হয়ত একদিন যোগাযোগের বিষয়টি বাস্তবে রূপলাভ করবে।
অসম্ভবকে সম্ভব করাই তো শক্তিমানের সাফল্য।
আগে শিক্ষকগণ দরিদ্র
ছিলেন, তখন তাঁরা পাঠ দান করতেন, জ্ঞান বিতরণ করতেন। অর্থপ্রাপ্তির কথা
ভাবতেন না। এখন যখন পাঠদান-জ্ঞানদান পণ্য হয়ে গেছে, সুতরাং শিক্ষকগণ দরিদ্র
থাকবেন কেন? এখন তাঁদের বাড়ি আছে, ব্যাংকে টাকা আছে, জীবনমান উন্নততর
হয়েছে। তাঁদেরকে দরিদ্র বলা যাবে না। এই তুলনায় ডাক্তারগণ ভালো অবস্থানে
আছেন। তাঁদের সেবামূলক পেশাটি এখন বিরাট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত
হয়েছে। তাঁদের একাধিক বাড়ি আছে, দেশের বিভিন্ন শহরে বাড়ি আছে, ২/১টি গাড়ি
আছে। মধ্যমানের বিত্তশালী তাঁরা। একজন ডাক্তার ছেলে বিয়ের বাজারে সমৃদ্ধ
পণ্য বটে। তাঁরা এতটা ব্যস্ত, অযথা সময় ব্যয় করতে চান না, রোগী দেখার জন্য
উদগ্রীব, দেখলেই অর্থ-প্রাপ্তি, রোগীকে বেহুদা পরীক্ষা-নামক যন্ত্রদানবের
কাছে পাঠালেও অর্থ-প্রাপ্তি। সুতরাং এককালে যে ডাক্তার রোগীর কাছে যেতেন,
এটা আর এখন বিশ্বাসযোগ্য বলে কেউ ভাবতে পারে না।
তেমনি যাঁরা আমাদের
প্রতিনিধি, তাঁরা এতটাই বিত্তশালী, তাঁরা নিজের দেশ সেবা করেন, জনগণের
প্রতিনিধিত্ব করেন, বাড়ি তৈরি করেন নিরাপদ বিদেশে। দেশের অর্থও সেখানে চলে
যায়। দেশে বাড়ি, বিদেশে বাড়ি এবং একসময় গ্রহ থেকে গ্রহান্তরেও বাড়ি বানাবেন
হয়ত।
এই যে অভিযাত্রা, তাকে কি বলব? অবশ্যই উল্টো সংস্কৃতি।
স্বস্তির জন্য পেছনে হাঁটছি, সুখের জন্য সম্মুখে দৌঁড়াচ্ছি। স্বস্তি দু’দ-
সুখ দেয়, সুখ কোনো অবস্থায়ই স্বস্তি দিচ্ছে না। তাই স্বস্তি বোধকে অনুকূল
সংস্কৃতি বলছি, সুখপ্রাপ্তির জন্য হন্যে হয়ে দৌঁড়ঝাপকে উল্টো সংস্কৃতি
বলছি। যেমন-
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়ছে আলোর কণিকা ॥