ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে কুমিল্লার আদালতে মামলা
Published : Monday, 15 February, 2021 at 12:00 AM
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এক কিশোরী মা তার সন্তানের পিতৃত্বের দাবিতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। ওই দাবিতে কিশোরীর বাদি হয়ে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২’-এর বিচারক জাহিদুল করিমের আদালতে মো. সুমন (২৩), তার পিতা- ধন মিয়া খাজা ও তার চাচাতো ভাই মো. ইমনÑ এই ৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন।
কিশোরীর অভিযোগ, তার গ্রামের সুমন নামে এক ছেলে তার সাথে প্রেমের অভিনয় শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই ছেলে তার সরলতার সুযোগ নিয়ে একরকম জোর করেই তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং সে কাঁদাকাটি করলে পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু গত ৭ ফেব্রুয়ারি সে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে বখাটে সুমন মিয়া (২৪) প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে যায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বছর তিনেক আগে সুবিল গ্রামের মনু ফকিরবাড়ির হুমায়ন কবিরের ছেলে সুমন মিয়া ওই কিশোরীর সাথে সম্পর্ক গড়ে। মেয়েটি বলেন, “সুমনকে বার বার বারণ করা সত্ত্বেও জোর করেই তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে করে। ‘সন্তানের মা হতে চলেছি’ বলে যখন সুমনকে বিষয়টি জানানো হয়, তখন সে এসব কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করে। যখন আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকি তখন সে বলে, বিয়ের পর তোমাকে নিয়ে আমি ক্যান্টমেন্ট এলাকায় বাসা করে থাকব। এসব বিষয়ে কাউকে কিছু না বলতে আবারও অনুরোধ করে সুমন বলে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তার এক বন্ধুর বিয়ে সম্পন্ন হবে। তারপরই সে আমাকে বিয়ে করবে।”
কিন্তু ওইদিন সুমনের কোনো বন্ধুর বিয়ে ছিল না। কিশোরী মেয়েটি পরে জানতে পারেন, ওইদিন ছিল সুমনের নিজেরই বিয়ে। মেয়েটি বলেন, ‘সুমন আমার সাথে প্রতারণা করেছে। যখন বিষয়টি আমি আমার পরিবারকে জানাই, তখন আমার ওপর নেমে আসে পারিরবারিক চাপ আর নির্যাতন। সামাজিক মান-সম্মানের ভয়ে আমার বাবা-মা আমাকে বিষয়টি গোপন রেখে সুমনের পরিবারের সাথে সমঝোতা করার চেষ্টা করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি  হাসপাতালে সুমনের ঔরশজাত কন্যাসন্তানের জন্ম দিই। এখন আমি আমার সন্তানের পিতৃপরিচয় চাই।’
অভিযুক্ত সুমনের মা বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।  সুমন এখন কোথায় থাকে, তাও কেউ জানেন না।
ভিক্টিমের বাবা-মা বলেন, ‘আমরা যখন জানতে পেরেছি তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন আমরা এ ঘটনায় কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২-এ মামলা দায়ের করেছি। আমরা আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সুবিচার কামনা করছি।