মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনে নিরাপত্তা বাহিনীর ফাঁদে আটকেপড়া কয়েকশ বিক্ষোভকারী শেষ পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পেরেছেন। এর আগে তাদের মুক্ত হতে সহায়তা করতে পশ্চিমাশক্তিগুলো ও জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছিল।
মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
সানচুয়াং জেলার তরুণদের সহায়তায় নৈশ কারফিউ অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার লোক দেশটির প্রধান শহরের রাস্তায় নেমে আসেন।
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে প্রভাবশালী সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরপর থেকে নিয়মিতই সানচুয়াং জেলায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এখন ৬০ বিক্ষোভকারীকে হত্যা ও এক হাজার ৮০০ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
সানচুয়াংয়ে পুলিশ গুলি ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। সোমবার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, বাইরের জেলা থেকে কেউ এসেছেন কিনা; তা খুঁজে বের করতে প্রতিটি ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হবে। লুকিয়ে থাকা কাউকে ধরতে পারলে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানায়।
তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট শ্যার ইয়া মনি বলেন, ১৫ থেকে ২০ জনের সঙ্গে তিনি একটি ভবনের ভেতরে আটকা ছিলেন। কিন্তু এখন বাড়ি ফিরতে সক্ষম হয়েছেন। স্থানীয় লোকজনও তাদের স্বাগত জানিয়েছেন।
স্বৈরতন্ত্রের অবসান না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবেন বলে জানান এই নারী। আরেক বিক্ষোভকারী ফেসবুকে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী সরে যাওয়ার পর সকাল ৫টার দিকে তিনি এলাকা ছেড়েছেন।
তবে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির সময় অর্ধশতাধিক লোককে আটক করেছে পুলিশ।